DoinikAstha Epaper Version
ঢাকাবৃহস্পতিবার ২৫শে এপ্রিল ২০২৪
ঢাকাবৃহস্পতিবার ২৫শে এপ্রিল ২০২৪

আজকের সর্বশেষ সবখবর

নবাবগঞ্জে ১৩ বোতল মাদকসহ আটক-১

News Editor
নভেম্বর ১৩, ২০২০ ৫:২৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

  শরীফ হাসান, দোহার প্রতিনিধিঃ ঢাকার নবাবগঞ্জের টিকেরপুর সাকিনস্থ শ্যামল সরকারের বাড়ীর পশ্চিম পাশের পাকা রাস্তার উপর থেকে বিধান সরকার (৫৮) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে ১৩ বোতল বিদেশী মদ সহ হাতেনাতে গ্রেফতার করেছেন নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে ১৩ বোতল বিদেশি মদসহ তাকে আটক করা হয়। বিধান সরকার নবাবগঞ্জ উপজেলার টিকেরপুর গ্রামের মৃত বিজয় গোপাল সরকারের ছেলে। সিরাজুল ইসলাম শেখ, পিপিএম, অফিসার ইনচার্জ, নবাবগঞ্জ থানা, ঢাকা এর দিক নির্দেশনায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা চালান এএসআই (নিঃ) গৌতম চন্দ্র হালদারসহ সঙ্গীয় ফোর্স। সিরাজুল ইসলাম শেখ, পিপিএম বলেন, বিধান সরকার একটি সংঘবদ্ধ মাদক সিন্ডিকেটের সদস্য। দীর্ঘদিন ধরে সে মাদক বিক্রিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তাকে আমরা ১৩ বোতল মদসহ আটক করি। তার বিরুদ্ধে মামলা করে তাকে আমরা আদালতে পাঠিয়ে দেই।                                                                                                         হামে বিশ্বে ৫০ শতাংশ মৃত্যু বেড়েছে, আক্রান্তও বেশি হামে বিশ্বে ৫০ শতাংশ মৃত্যু বেড়েছে, আক্রান্তও বেশি ।২০১৬ সালের পর থেকে বিশ্বব্যাপী হামে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে, যার মধ্যে শুধু ২০১৯ সালেই প্রায় ২ লাখ ৭ হাজার ৫০০ প্রাণহানি হয়েছে। এটি ১৯৯৬ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ এবং ডব্লিউএইচও’র আওতাধীন সব অঞ্চলেই এটি বেড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এবং যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) এক প্রকাশনায় উঠে এসেছে এসব তথ্য। আজ শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) ইউনিসেফ এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। এছাড়া প্রকাশনার তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে বিশ্বজুড়ে হামে আক্রান্তের ঘটনা বেড়ে ৮ লাখ ৬৯ হাজার ৭৭০ জনে পৌঁছেছে। এটি গত ২৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের ঘটনা। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বৈশ্বিক অগ্রগতির পর ২০১৯ সাল পর্যন্ত হামে আক্রান্তের ঘটনা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। ইতিহাসের সবচেয়ে কম হামে আক্রান্তের ঘটনা পাওয়া গেছে ২০১৬ সালে। ওই বছরের সঙ্গে ২০১৯ সালের তথ্যের তুলনা করে প্রকাশনার লেখকরা এক্ষেত্রে শিশুদের সময়মতো হাম প্রতিরোধ টিকা (এমসিভি১ ও এমসিভি২) দিতে ব্যর্থতার কথাই উল্লেখ করেন, যা এ রোগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর ক্ষেত্রে প্রধান চালিকা শক্তি। ডাব্লিউএইচও মহাসচিব ড. টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেইয়েসুস বলেন, হামের প্রাদুর্ভাব ও মৃত্যু কীভাবে প্রতিরোধ করতে হয় তা আমরা জানি। এ তথ্য একটি স্পষ্ট বার্তা দেয় যে, আমরা বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলে শিশুদের হাম থেকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হচ্ছি। সর্বত্র সবার কাছে হামের টিকা পৌঁছে দিতে এবং প্রাণঘাতী এ ভাইরাসকে থামাতে দেশগুলোকে সহায়তা দিতে এবং কমিউনিটিগুলোকে সম্পৃক্ত করতে আমাদের অবশ্যই একত্রে কাজ করতে হবে। আরও পড়ুন ঃদেশসেরা প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হলেন রাজবাড়ীর শহিদুল বলা হয়েছে, হামের প্রাদুর্ভাব ঘটে যখন ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত না থাকা লোকজন সংক্রমিত হয় এবং টিকা না দেওয়া বা স্বল্প পরিমাণে টিকা দেওয়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে এ রোগ ছড়িয়ে দেয়। হাম নিয়ন্ত্রণ করতে এবং এর প্রাদুর্ভাব ও মৃত্যু ঠেকাতে প্রয়োজনীয় এমসিভি১ ও এমসিভি২-সহ টিকাদানের আওতা জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে বাড়িয়ে ৯৫ শতাংশে পৌঁছাতে হবে। বৈশ্বিকভাবে এমসিভি১ দেওয়ার আওতা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ৮৪ থেকে ৮৫ শতাংশের মধ্যে আটকে গেছে। এমসিভি২ দেওয়ার আওতা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকলেও এর হার বর্তমানে মাত্র ৭১ শতাংশ। হাম নিয়ন্ত্রণ এবং এর প্রাদুর্ভাব ও মৃত্যু ঠেকানোর জন্য উভয় ডোজসহ টিকাদানের আওতা ৯৫ শতাংশ বা তার বেশিতে উন্নীত করতে হবে, যা বর্তমানে এ সীমার অনেক নিচে রয়েছে। করোনা মহামারি মোকাবিলায় বৈশ্বিক সাড়া কারণে কোনোভাবেই হামের সংকটকে বাড়তে দেওয়া যাবে না যদিও ২০২০ সালে হামে আক্রান্তের ঘটনার সংখ্যা কম, তবে করোনা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় প্রচেষ্টা টিকাদান কার্যক্রমকে ব্যাহত করেছে এবং হামের প্রাদুর্ভাব রোধ ও হ্রাস করার প্রচেষ্টাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে ২৬টি দেশে হামের টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ৯ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ টিকা না পাওয়ার ঝুঁকিতে ছিল। এর মধ্যে অনেক দেশ চলমান প্রাদুর্ভাব মোকাবিলা করছে। ২০২০ সালের নির্ধারিত টিকাদান কার্যক্রম স্থগিত রাখা দেশগুলোর মধ্যে মাত্র আটটি (ব্রাজিল, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইথিওপিয়া, নেপাল, নাইজেরিয়া, ফিলিপাইন ও সোমালিয়া) প্রথম দিকে বিলম্বের পরে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। বাংলাদেশে জাতীয় হাম এবং রুবেলা টিকাদান কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তকে ইউনিসেফ আন্তরিকভাবে স্বাগত জানায়। এ কার্যক্রম ২০২০ সালের মার্চ মাসে পরিচালনার কথা ছিল, তবে করোনার কারণে তা স্থগিত করতে হয়েছিল। এটি এখন করোনাজনিত স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে শুরু হওয়ার কথা। ইউনিসেফের সহায়তায় বাংলাদেশ হাম এবং রুবেলা টিকাদান কার্যক্রম সরকার পরিচালনা করে। এ কার্যক্রমের আওতায় ৯ মাস থেকে ৯ বছর বয়সী প্রায় ৩ কোটি ৪০ লাখ শিশুকে টিকা দেওয়া হবে, বাংলাদেশে এ বয়সী শিশুদের ৯৫ শতাংশেরও বেশি।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:০৮
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৬:২৮
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:১৩
  • ১২:০০
  • ৪:৩১
  • ৬:২৮
  • ৭:৪৭
  • ৫:২৮