নাজিরপুরে কিস্তি ক্রেতার মৃত্যুতে আর্থিক সহায়তা দিলো ওয়ালটন প্লাজা
পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের নাজিরপুরে ক্রেতার মৃত্যুতে গ্রাহকের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন দেশের শীর্ষ স্থানীয় ইলেকট্রনিক্স পণ্যের মাল্টি ন্যাশনাল ব্র্যান্ড ওয়ালটন প্লাজা।
আজ বুধবার (১৪ জুন) বিকেল ৫ টায় উপজেলার কাটাবুনিয়া-হোগলা বুনিয়া দারুল কোরান মাদ্রাসার মাঠে আনুষ্ঠানিক ভাবে পঞ্চাশ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করেন ওয়ালটন প্লাজার কর্মকর্তাগন।
জানা যায়, নাজিরপুর ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তি সুবিধায় পন্য ক্রয় করে কিস্তি পরিশোধ না হতেই গত ২ মে মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় নাজিরপুর-ঢাকা মহাসড়কের নতুন রাস্তা নামক এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন উপজেলার দেউলবাড়ি দোবরা ইউনিয়নের ক্বারি সামছুল হকের ছেলে এবং কাটাবুনিয়া হোগলা বুনিয়া দারুলকুরআন মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাঃ মুফতি মোঃ মাহামুদুল হাসান।এর প্রেক্ষিতে ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতির’ আওতায় তার কিস্তি মওকুফ করে পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন ওয়ালটন প্লাজা কর্তৃপক্ষ।
উক্ত অনুষ্ঠানে শাখারী কাঠি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান গাউসের সভাপতিত্বে এবং মৃত ক্রেতা মোঃ মাহমুদুল হাসান ফিরোজীর বড় ভাই ঐ মাদ্রাসার বর্তমান প্রধান শিক্ষক মাওলানা মাসুদুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ওয়ালটন প্লাজার ডি সি এম মোঃ সাহানুর আলম।
এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন, ওয়াল্টন প্লাজার ডেপুটি ম্যানেজার হায়ার মোঃ সাঈদ হাসান, পিরোজপুর এরিয়ার রিজোনাল ক্রেডিট ম্যানেজার মিঠুন দাস, আর এস এম আঃ হান্নান,নাজিরপুর ওয়াল্টন প্লাজার ম্যানেজার মোঃ আজিবর রহমান, মাদ্রাসার সভাপতি মোঃ মাহাতাব হোসেন, সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আইয়ুব হাসান প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন ক্রেতাদের জন্য ‘কিস্তি ক্রেতা সুরক্ষা নীতি’ চালু করেছে ওয়ালটন প্লাজা। এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তি পণ্য ক্রয়কারীদের কিস্তি সুরক্ষা কার্ড দেওয়া হচ্ছে। কিস্তি চলমান থাকা অবস্থায় ক্রেতার মৃত্যু হলে পণ্যমূল্যের ভিত্তিতে ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত সহায়তা দিচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা।
এছাড়াও কিস্তি সুরক্ষা কার্ডধারী সদস্য নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান থেকে স্বল্প খরচে বিভিন্ন রকম সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এজন্য বক্তারা যেকোনো পন্য ওয়াল্টন প্লাজা থেকে ক্রয় করার জন্য উপস্থিত সাধারণ মানুষদের অনুরোধ করেন এবং মৃত ক্রেতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বলেন একজন মানুষ চলে গেলে ঐ পরিবারের যে ক্ষতি হয় তা আমাদের পক্ষে কোন ভাবেই পুরোন করা সম্ভব না তারপরেও সামান্য সহায়তা করে কস্টের ভাগিদার হতে চায় ওয়ালটন কম্পানি। বক্তারা আরও বলেন আমরা দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে কম্পানির সুবিধা ক্রেতাদের দোড় গোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার চেস্টা করছি, এজন্য আপনারা ওয়ালটন প্লাজা এবং এর কর্মকর্তাদের জন্য দোয়া করবেন। বিশ্ব জয় করার লক্ষে আমরা যে উদ্যোগ নিয়েছি তা সফল করতে আপনারা ওয়াল্টন থেকে পন্য কিনবেন এবং অন্যদের কিনতে উৎসাহিত করবেন।
অনুষ্ঠান শেষে মৃত ক্রেতা মাঃ মুফতি মোঃ মাহামুদুল হাসানে পরিবারের উপস্থিতিতে কিস্তির নমিনি ও তার ছোট ভাই মোঃ ইমরান মোল্লার কাছে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা হস্তান্তর করা হয়।