অনলাইন ডেস্ক:
করোনা পরবর্তী সময়ে কয়েক মাস ধরেই বাজারে অধিকাংশ পণ্যের দাম উঠানামা করছে। বর্তমানে বাজারে সবজি ও মাছের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকলেও চাল, ভোজ্য তেল, আটা, এবং পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বগতি রয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোজ্য তেলের বাজারে এ অস্থিরতা চলছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা বলেছেন, ৩ থেকে ৪ দিনের ব্যবধানে সব ধরণের চালে কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা করে বেড়েছে। প্রতি বস্তা মিনিকেট চাল ৩ হাজার ৫০ টাকা থেকে ৩ হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত দরে বিক্রি হচ্ছে। আজ শুক্রবার রাজধানীর তেজকুনিপাড়া কাঁচা বাজার, কাওরানবাজারসহ আরও কয়েকটি বাজার ঘুরে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র জানা গেছে।
কাওরানবাজারের চালের আড়ৎদার ইসমাইল অ্যান্ড সন্স- এর মালিক জসিম উদ্দিন দৈনিক ইত্তেফাক অনলাইনকে বলেন, দুই মাস ধরে চালের দাম উঠানামা করছে। কখনো বাড়ছে আবার কখনো কমছে। মাঝে চালের দাম স্থির থাকলেও এখন আবার চালের দাম বেড়ে গেছে। সব ধরণের চাল ৩ থেকে ৪ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। প্রতি বস্তা মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৩০ হাজার ৫০ টাকা থেকে ৩ হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত। প্রকারভেদে আরও বেশিও বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর তেজকুনিপাড়া কাঁচা বাজারের মুদী ব্যবসায়ী মানিক মিয়া স্টোরের মালিক আরিফুর রহমান দৈনিক ইত্তেফাক অনলাইনকে বলেন, ‘তেলের দাম এখনো কমেনি বরং বেড়েছ। প্রতি লিটার রূপচাঁদা তেল এক মাস আগে ১০৭ টাকা দামে পাইকারি বিক্রি করেছি। এখন সেটা বিক্রি করছি ১৩৫ টাকা, যেটির গায়ের রেট ১৪০ টাকায় খুচরা বিক্রি হবে। একইভাবে বাড়ছে খোলা সয়াবিন তেলও।
তিনি আরও বলেন, ২ কেজি আটা গত সপ্তাহ বিক্রি করেছি ৬৫ টাকা, এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭২ টাকা পর্যন্ত। চিনি দামও এক সপ্তাহে বেড়েছে। আগে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি করেছি ৭০ টাকা, এখন সেটি বিক্রি হচ্ছে ৭২ থেকে ৭৫ টাকা পর্যন্ত।
রাজধানীর কাকরাইল থেকে কাওরানবাজারে চাল কিনতে আসা কামাল হোসেন দৈনিক ইত্তেফাক অনলাইনকে বলেন, ‘চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমরা মধ্যবিত্তরা বিপদে পড়ছি। গত মাসে এক বস্তা মিনিকেট চাল কিনেছিলাম ২ হাজার ৮০০ টাকা দিয়ে। এখন সেটার দাম চাচ্ছে ৩ হাজার ১০০ টাকা।’
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, তিনদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজে দাম বেড়েছে ৬ টাকা। ৩০ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৬ টাকা দরে।
এদিকে সবজি বাজারে গিয়ে দেখা গেছে- সবজি ও মাছের দাম স্বাভাবিক থাকলেও বেড়েছে ডিমের দাম। ১০ টাকা বেড়ে প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা করে। হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১৭০ টাকা করে।