সোহরাব হোসেনঃ পাওনাদারকে টাকা না দিয়ে অপহরণের দায়ে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেছে সাতক্ষীরার এক গরু ব্যাবসায়ী। এঘটনায় প্রতারণার অভিযোগে ওই গরু ব্যাবসায়ীসহ সাত জনকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ।
এঘটনায় মঙ্গলবার ৬ অক্টোবর বিকাল ৪টায় সাতক্ষীরা সদর থানায় সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিংকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাতক্ষীরা সদর সার্কেল মির্জা সালাহউদ্দিন বলেন, গত সোমবার ৫ অক্টোবর রাত ১০টায় এক ব্যক্তি সাতক্ষীরা থানা পুলিশ ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সংবাদ দেয় যে, খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের গোপীনাথপুর এলাকায় ঋশিল্পীর সামনের রাস্তায় নগরঘাটার এলাকা থেকে এক গরু ব্যাবসায়ীকে অপহরণ করা হয়েছেন।
নারী নির্যাতনের দায়ীদের শিগগিরই আইনের মুখোমুখি করবো: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ওই ব্ক্তি আরো উল্লেখ করেন যে, অপহরণকারীরা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মাইক্রোবাসে করে তাকে তুলে নিয়ে খুলনার দিকে চলে গেছে এবং অপহৃত ব্যক্তির কাছে গরু বিক্রির এক লক্ষ টাকা ছিল।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গেলে, অপহৃত ব্যক্তি যে ইঞ্জিন ভ্যানে করে এসেছিল তার চালক, তথ্য প্রদানকারী এবং অপহৃত ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজনকে পাওয়া যায়। তারা সকলেই অপহরণের ঘটনা বর্ণনা দেন এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
কিন্তু বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায জেলা় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার) এর নির্দেশনায় ভ্যান চালক কে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে অপহরণের নাটক সাজানোর কথা স্বীকার করে এবং বিস্তারিত তথ্য দেয় পুলিশের কাছে। তার তথ্য মতে অপহরণের নাটক সাজানো নায়ক, আত্মগোপনে থাকা অপহৃত ভিকটিমকে আগরদাঁড়ি ইউনিয়নের বাশঘাটা এলাকায় তার শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, তার এক আত্মীয়ের ৫৬ হাজার টাকা ফেরত না দেয়ার উদ্দেশ্যে, পরস্পর যোগসাজোশে, অপহরণের মিথ্যা নাটক সাজিয়ে পুলিশকে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছে।
প্রতারণার দায়ে আটককৃতরা হলেন,সাতক্ষীরা পাটকেলঘাটার গাবতলা নগরঘাটা এলাকার হাফিুজুল ইসলাম, ভ্যানওয়ালা কবিরুল, হাফিজুলের ভাই মফিজুল, রবিউল ও আত্মীয় আমিনুর, জিয়াউল ইসলাম ও ইসমাইল হোসেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে সদর থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আর কেউ জড়িত আছে কিনা খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে।