অস্ত্র মামলায় শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমনকে অস্ত্র আইনে করা মামলায় ২৭ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার ১ নম্বর স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ সোমবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানান, পুরো দেশ পাপিয়া দম্পতির রায়ের অপেক্ষায় ছিল। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু বলেন, মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। এ রায়ে আমরা সন্তুস্ট।
অন্যদিকে মামলাটির বিচার দ্রুত শেষ হওয়ায় আশঙ্কায় রয়েছে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। পাপিয়ার দম্পতির আইনজীবী শাখাওয়াত উল্যাহ ভূঞা বলেন, আমরা শুরু থেকে দাবি করে আসছি এটা একটা সাজানো মামলা। হয়রানি করার জন্য তাদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার দেখানো হয়েছে। সাক্ষীদের জেরায় আমরা এটা প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি। আসামিরা অস্ত্র উদ্ধারের সঙ্গে জড়িত না।
তিনি বলেন, মাত্র ১২ কার্যদিবসে মামলাটির বিচার শেষ হচ্ছে। আগে এত দ্রুত এ রকম কোনো মামলার বিচার শেষ হয়েছে বলে জানা নেই। রাষ্ট্রপক্ষ কেন এত দ্রুত মামলাটির বিচার শেষ করতে তৎপর তা বুঝতে পারছি না।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশত্যাগের সময় পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেফতার করে র্যাব।
গ্রেফতার অন্যরা হলেন- পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন (৩৮), সাব্বির খন্দকার (২৯) ও শেখ তায়্যিবা (২২)।
তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, নগদ দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ ইউএস ডলারসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারের পর ওইদিন রাতেই নরসিংদীর বাসায় এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে হোটেল ওয়েস্টিনে তাদের নামে বুকিং করা বিলাসবহুল প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটে অভিযান চালানো হয়।