বাজে একটা আসরের শেষটাও হার দিয়ে করেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। তারকা নির্ভর দল নিয়েও পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থেকে আসর শেষ করল রোহিত শর্মার দল। অন্যদিকে শেষ ম্যাচে ১৮ রানের জয়ের পরও আসর থেকে ছিটকে গেছে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস।
জয়ের ফলে ১৪ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট হল লক্ষ্ণৌর। একই পয়েন্ট রয়েছে দিল্লি এবং চেন্নাইয়ের। দিল্লিও লক্ষ্ণৌর মতোই ১৪ ম্যাচ খেলে ফেলেছে। তাদের রান রেট বদলানোর সুযোগ নেই।
আজ শনিবার চেন্নাই জিতলে তারা ১৬ পয়েন্ট পেয়ে কোনো হিসেব ছাড়াই প্লে-অফে চলে যাবে। অন্য দিকে, বেঙ্গালুরু জিতলে ১৪ পয়েন্ট হবে দুই দলেরই। তখন দেখা হবে নেট রান রেট। সেখানে চেন্নাইয়ের থেকে এগিয়ে গেলে তারাই চতুর্থ স্থানে থেকে গ্রুপ পর্ব শেষ করবে। রান রেটে লক্ষ্ণৌ শেষ করেছে দিল্লিরও নীচে। ফলে তাদের প্লে-অফে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
ওয়াংখেড়েতে শুক্রবার ২১৫ রান তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু করেছিল মুম্বাই। রোহিত শর্মা এবং ডেওয়াল্ড ব্রেভিস মিলে উদ্বোধনী জুটিতে তুলেন ৮৮ রান। ব্রেভিস ফিরতেই মুম্বাইয়ের পতন শুরু হয়। সূর্যকুমার যাদব কোনও রান করতে পারেননি। ব্যর্থ হয়েছেন হার্দিক (১৬) এবং নেহাল ওয়াধেরাও (১)।
তবে রোহিত ৩৮ বলে ৬৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন। শেষ দিকে নামান ধীর (৬২) তবু একটু লড়াই করেছিলেন। তবে সেটা কেবলই হারের ব্যবধান কমিয়েছে। জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় বলেই ধাক্কা খায় লক্ষ্ণৌ। ফিরে যান দেবদূত পাডিক্কাল। নুয়ান থুসারার বলে আউট হন তিনি। পরের ওভারে অল্পের জন্য বেঁচে যান মার্কাস স্টয়নিস। এর পর রাহুল এবং স্টয়নিস মিলে লক্ষ্ণৌর ইনিংসের ভিত গড়েন। স্টয়নিস ২৮ রানে ফিরেছেন।
দীপক হুদাও ১১ রানের বেশি করতে পারেননি। তবে নিকোলাস পুরান নামতেই ইনিংসের গতি বদলে যায়। শুরু থেকেই ব্যাট চালাতে থাকেন এই ক্যারিবিয়ান। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ১৯ বলে অর্ধশতক করেন পুরান। ফিফটি পেয়েছেন রাহুলও। সবমিলে বড় সংগ্রহ পায় তারা।