ঢাকা ১১:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আগুনমুখা নদীতে নিখোঁজ- ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার

News Editor
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৮:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২০
  • / ১০৫৩ বার পড়া হয়েছে
আমির হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার আগুনমুখা নদীতে স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৫ জনের মরাদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার ৩৬ ঘন্টা পর শনিবার ভোরে আগুনমুখা নদীর বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যায়ক্রমে লাশ উদ্ধার করেন কোস্টগার্ড ও স্থানীয়রা।
নিহতদের লাশ বর্তমানে কোড়ালীয়া লঞ্চঘাটে রয়েছে। লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত ব্যাক্তিরা হলেন,রাঙ্গাবালী থানার পুলিশ কনস্টেবল মোঃ মহিবুল্লাহ (৪৫), বাহেরচর কৃষি ব্যাংক শাখার পরিদর্শক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান(৩৫), আশা ব্যাংকের খালগোড়া শাখার লোন অফিসার কবির হোসেন(৩০), এলজিইডির রাস্তার কাজে আসা শ্রমিক মো.হাসান মিয়া(৩৫) ও মোঃ ইমরান(৩৪)।
নিহত মহিব্বুল্লাহ বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার জিরাইন গ্রামের মৃত রহমান হকের ছেলে, মোস্তাফিজুর রহমান পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর গ্রামের আব্দুল সালাম হাওলাদারের ছেলে, কবির হোসেন বাউফল উপজেলার আজিজ সিকদারের ছেলে, হাসান মিয়া পটুয়াখালী সদর উপজেলার ছোট আউলিয়াপুর গ্রামের আব্দুর রহিম হাওলাদারের ছেলে ও মো.ইমরান বাউফল উপজেলার জয়গোড়া গ্রামের মৃত সাহআলম হাওলাদারের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২২অক্টোবর) বিকাল প্রায় ৫ টার দিকে রাঙ্গাবালী উপজেলার কোরালিয়া লঞ্চঘাট প্রান্ত থেকে যাত্রী নিয়ে আহম্মেদ এন্টারপ্রাইজের মালিকানাধীন একটি স্পিডবোট গালাচিপা উপজেলার পানপট্টি প্রান্তের উদ্দেশ্য ছেড়ে আসে। আগুনমুখার মাঝ নদীতে ঢেউয়ের তোড়ে তলা ফেটে ১৮ জন লোক নিয়ে স্পিডবোটটি ডুবে যায়। এতে ১৩ যাত্রী জীবিত উদ্ধার হলেও ৫ জন নিখোঁজ ছিলো।পরে পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা চালালেও ঘটনার ৩৬ ঘন্টা পর আগুনমুখা নদীর কয়েক জায়গা থেকে ভাসমান অবস্থায় নিহতদের লাশ উদ্ধার করা হয়। একজনের লাশ কোস্টগার্ড উদ্ধার করেছে। বাকি ৪ জনের লাশ স্থানীয়রা নদীতে ভাসতে দেকে উদ্ধার করে।
রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মো.আলী আহম্মেদ জানান, নিহত ৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যাক্তিদের পরিবারের দাবীর প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। যেহেতু পানিতে ডুবে মারাগেছে, তাই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান জানান, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ¯স্পিডবোট চালানোর কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। দোষীদের কোনভাবেই ছাড় দেয়া হবেনা। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আগুনমুখা নদীতে নিখোঁজ- ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় : ০৬:৪৮:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২০
আমির হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার আগুনমুখা নদীতে স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৫ জনের মরাদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার ৩৬ ঘন্টা পর শনিবার ভোরে আগুনমুখা নদীর বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যায়ক্রমে লাশ উদ্ধার করেন কোস্টগার্ড ও স্থানীয়রা।
নিহতদের লাশ বর্তমানে কোড়ালীয়া লঞ্চঘাটে রয়েছে। লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত ব্যাক্তিরা হলেন,রাঙ্গাবালী থানার পুলিশ কনস্টেবল মোঃ মহিবুল্লাহ (৪৫), বাহেরচর কৃষি ব্যাংক শাখার পরিদর্শক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান(৩৫), আশা ব্যাংকের খালগোড়া শাখার লোন অফিসার কবির হোসেন(৩০), এলজিইডির রাস্তার কাজে আসা শ্রমিক মো.হাসান মিয়া(৩৫) ও মোঃ ইমরান(৩৪)।
নিহত মহিব্বুল্লাহ বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার জিরাইন গ্রামের মৃত রহমান হকের ছেলে, মোস্তাফিজুর রহমান পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর গ্রামের আব্দুল সালাম হাওলাদারের ছেলে, কবির হোসেন বাউফল উপজেলার আজিজ সিকদারের ছেলে, হাসান মিয়া পটুয়াখালী সদর উপজেলার ছোট আউলিয়াপুর গ্রামের আব্দুর রহিম হাওলাদারের ছেলে ও মো.ইমরান বাউফল উপজেলার জয়গোড়া গ্রামের মৃত সাহআলম হাওলাদারের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২২অক্টোবর) বিকাল প্রায় ৫ টার দিকে রাঙ্গাবালী উপজেলার কোরালিয়া লঞ্চঘাট প্রান্ত থেকে যাত্রী নিয়ে আহম্মেদ এন্টারপ্রাইজের মালিকানাধীন একটি স্পিডবোট গালাচিপা উপজেলার পানপট্টি প্রান্তের উদ্দেশ্য ছেড়ে আসে। আগুনমুখার মাঝ নদীতে ঢেউয়ের তোড়ে তলা ফেটে ১৮ জন লোক নিয়ে স্পিডবোটটি ডুবে যায়। এতে ১৩ যাত্রী জীবিত উদ্ধার হলেও ৫ জন নিখোঁজ ছিলো।পরে পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা চালালেও ঘটনার ৩৬ ঘন্টা পর আগুনমুখা নদীর কয়েক জায়গা থেকে ভাসমান অবস্থায় নিহতদের লাশ উদ্ধার করা হয়। একজনের লাশ কোস্টগার্ড উদ্ধার করেছে। বাকি ৪ জনের লাশ স্থানীয়রা নদীতে ভাসতে দেকে উদ্ধার করে।
রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মো.আলী আহম্মেদ জানান, নিহত ৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যাক্তিদের পরিবারের দাবীর প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। যেহেতু পানিতে ডুবে মারাগেছে, তাই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান জানান, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ¯স্পিডবোট চালানোর কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। দোষীদের কোনভাবেই ছাড় দেয়া হবেনা। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।