বিতর্কিত নাগোরানো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে দুই প্রতিবেশী দেশ আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে গত সপ্তাহ থেকে সংঘাত চলে আসছে। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, আজারবাইজানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর গানজাতে গোলা ছুড়েছে আর্মেনিয়া।
নাগোরনো-কারাবাখ আজারবাইজানের হলেও সেখানে জাতিগত আর্মেনিয়া গোষ্ঠী বসবাস করে আসছে। মূলত তাদের হয়ে যুদ্ধে জড়িয়েছে আর্মেনিয়া। সেখানকার স্ব-ঘোষিত কর্তৃপক্ষ বলছে, আজারবাইজানের সেনাবাহিনী এই অঞ্চলের রাজধানী স্টেপানাকার্টে গুলি করার পরে তারা গানজার সামরিক বিমানবন্দরে গোলা ছুড়েছে।
তুরস্কের সংবাদ মাধ্যম ইয়েনি শাফাক জানিয়েছে, আর্মেনিয়া হামলায় এক বেসামরিক নাগরিক নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন।
সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের নামে ইসরাইলের প্রতারণা, তীব্র নিন্দা তুরস্কের
আজারবাইজান এই হামলার প্রতিশোধ হিসেবে আর্মেনিয়ার সামরিক ঘাঁটিগুলোর ওপর হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছে। আর্মেনিয়া অবশ্য আজারবাইজানের ওপর সরাসরি হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
আর্মেনিয়ার রকেট হামলায় আজারবাইজানের দ্বিতীয় শহর গানজায় এক বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনায় পাল্টা প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আজারি প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ। আর্মেনিয়ার অভ্যন্তরে যেসব শহর থেকে হামলা চালানো হয়েছে সেসব এলাকা ধ্বংস করার কথা জানিয়েছেন তিনি।
রোববার আজারি প্রেসিড্টে বলেন, আর্মেনিয়ার সামরিক লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করবে আজারবাইজান, যেখান থেকে আজারি শহরে আর্মেনিয়া হামলা চালিয়েছিল।
বিতর্কিত অঞ্চল নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে গত সপ্তাহে বিরোধে জড়ায় দুই প্রতিবেশী দেশ আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। বাকু দাবি করে, আজারবাইজানের বেসামরিক অঞ্চল ও সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালায় আর্মেনিয়া। ফলে দুই দেশের মধ্যে হামলা ও পাল্টা হামলার সূচনা হয়।
এরপরেই আজারবাইজানের সংসদ দেশটির কয়েকটি শহর ও অঞ্চলে যুদ্ধাবস্থা ঘোষণা করে।
নাগোরনো-কারাবাখ আজারবাইজারের ভেতরে হলেও আর্মেনীয় নৃগোষ্ঠীর লোকজন অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে, আর্মেনিয়া তাদের সমর্থন দিচ্ছে। ১৯৮৮-৯৪ সাল পর্যন্ত যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অঞ্চলটি আজারবাইজান থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও স্বাধীন দেশ হিসেবে এখনো কারো স্বীকৃতি পায়নি।