আজ দিনভর থমকে ছিল শ্রীলঙ্কা
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
সরকারের পদত্যাগ দাবিতে হাজারেরও বেশি ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা হরতালে শুক্রবার দিনভর থমকে ছিল শ্রীলঙ্কা। রাষ্ট্রের কোথাও স্কুল, অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলেনি। বিক্ষোভকারীদের হাতে রাঁত থেকে অবরুদ্ধ থাকার পর মুলতবি করা হয়েছে পার্লামেন্ট অধিবেশনও।
শ্রীলঙ্কার সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা বৃহস্পতিবার রাঁত থেকে পার্লামেন্টের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়েছে। রাঁতভর বৃষ্টি উপেক্ষা করে সেখানে অবস্থান করে তারা। বিক্ষোভকারীদের বাধার কারণে শুক্রবার সকাল থেকে কোনো এমপি পার্লামেন্ট ভবন ত্যাগ করতে পারেননি। এ অবস্থায় ১৭ মে পর্যন্ত পার্লামেন্ট অধিবেশন মুলতবি করা হয়েছে।
মাসের বেশি সময় ধরে প্রেসিডেন্টের সচিবালয়ের সামনে অবস্থান করছেন বিক্ষোভকারীরা। প্রেসিডেন্ট গোতাবি রাজাপাকসার পদত্যাগ দাবি করছে। বৃহষ্পতিবার থেকে পার্লামেন্ট ভবনের সামনে তারা বিক্ষোভ করেছেন। অধিবেশন মুলতবি হবার পর জায়গাটি পরিষ্কার করে বিদায় নেওয়ার আগে তারা বলেছেন, ১৭ মে আবার একই জায়গায় অবস্থান শুরু ঘোষনা দিয়েছে।
কোভিড প্রাদুর্ভাবের কারণে পর্যটন সমাগম ও শিল্পপণ্য রপ্তানি কমে যাওয়ায় শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক আয়ে ধস নামে। এরপর ব্যাপক কর মওকুফের কারণে ধস নামে সরকারের রাজস্ব আয়ে। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বাড়তে থাকে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়।
একইসঙ্গে বৈদেশিক ঋণের কিস্তি ও সুদ পরিশোধ করতে গিয়ে দ্রুত কমতে থাকে রিজার্ভ। এ মুহূর্তে শ্রীলঙ্কা সরকারের হাতে ব্যয় করার মতো রিজার্ভ তহবিলের পরিমাণ ৫০ লাখ ডলারেরও কম।
খাদ্য, জ্বালানি, ওষুধসহ নিত্য প্রয়োজনীয় আমদানি পণ্যের সংকটের কারণে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কার জনজীবন। এ অবস্থায় সরকার পতনের একদফা দাবিতে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন করছে দেশের মানুষ।