ঢাকা ০১:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo মানবতার আলোর পথে: লালন দর্শনের নতুন পাঠ Logo পরিমাপের ক্ষেত্রে মানসম্মত পরিসংখ্যানের গুরুত্ব অপরিসীম : ড. ইউনূস Logo রানওয়ে থেকে ছিটকে সাগরে পড়ল কার্গো উড়োজাহাজ, নিহত ২ Logo হাসপাতালে সংস্কার উদ্যোগে সহযাত্রী সোশ্যাল ফাউন্ডেশনের অগ্রগতি Logo দশমিনায় পুকুরে পরে শিশু নিহত Logo এনআইডি কার্ড ছাড়া ট্রেন ভ্রমণ বন্ধ : ডিসি সারোয়ার Logo আমরা যত দ্রুত পারি বিমানবন্দর চালু করব : বিমান উপদেষ্টা Logo কিশোরগঞ্জে জাতীয়তাবাদী চিকিৎসকদের মিলনমেলা; ঐক্য ও সৌহার্দ্যের নতুন বন্ধন Logo রংপুরে শাশুড়িকে ধর্ষণের অভিযোগ জামাইয়ের বিরুদ্ধে Logo দেশে মাদ্রাসা বোর্ড পাশে এগিয়ে যদিও বৈরাটি সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার সকল শিক্ষার্থীই ফেল

আবারও অপহরণ,খুনের ৬ বছর পর আদালতে হাজির মৃত ব্যক্তি

News Editor
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৪:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১০৭৬ বার পড়া হয়েছে

আবারও জিসা মনি কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে নারায়ণগঞ্জে। ছেলে নিখোঁজ হওয়ার পর অপহরণ, খুন ও গুমের অভিযোগ মামালা করেন বাবা। সাক্ষী জবানবন্দী দিয়েছে আদালতে। মামলায় জড়ানো ৫ আসামির কেউ দেড় বছর, কেউ আবার দেড় মাস হাজতবাস করেছেন। এ ঘটনার ৬ বছরের মাথায় আদালতে হাজির খোদ ‘মৃত’ ব্যক্তি!

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফতাবুজ্জামান এর আদালতে মামুনকে হাজির করা হয়। পরে আদালত একজন আইনজীবীর জিম্মায় মামুনকে দেওয়া হয়।

এ নিয়ে আজ আদালতপাড়া ছিল সরগরম। অনেকে জিসা মনি কাণ্ডের সাথে ঘটনাটি তুলনা করে আলোচনা আর সমালোচনা করেছেন।

রিফাত হত্যার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন মিন্নি, দাবি রাষ্ট্রপক্ষের

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১০ মে চাঁদপুরের মতলব নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন মামুন। তখন কোন ডায়েরি কিংবা অভিযোগ করা হয়নি। এরপর ২০১৬ সালের ৯ মে মামুনের কথিত প্রেমিকার বিরুদ্ধে অপহরণের পর খুনের অভিযোগ এনে ফতুল্লা থানায় মামলা করেন বাবা আবুল কালাম। আসামি করা হয় মামুনের কথিত প্রেমিকা তসলিমা, তার বাবা রকমত আলী, ভাই রফিক, খালাতো ভাই সাগর ও সাত্তার মোল্লাকে। মামলার পরে সকল আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পরে মাকসুদা বেগম নামের এক নারীর সাক্ষীতে আসামি কথিত প্রেমিকা তসলিমা ও তার ভাই রফিক দেড় বছর কারাবাস করেছেন। আর আসামি রকমত আলী, সাগর ও সাত্তার ছিলেন দেড় থেকে তিন মাস। সম্প্রতি জানা গেছে ৬ বছর আগে ‘মৃত’ সেই মামুন জীবিত আছেন। পরে বাদী পক্ষের আইনজীবীরা সেই মামুনকে আদালতে হাজির করেন।

‘মৃত ছেলে জীবিত হয়ে আদালতে’ মিথ্যা মামলায় কারাগারে থাকা আসামিদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এমদাদ হোসেন সোহেল শুনানি শেষে সাংবাদিকদের বলেন, নিরীহ, নিরপরাদ মানুষগুলো আজ যে জেল খেটেছে। আমরা তার বিচার চাই। রাষ্ট্রের কাছে ক্ষতিপূরণ চাই। পাশাপাশি বাদী কেন মিথ্যা মামলা করলো, তার জন্য দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেন।

আবারও অপহরণ,খুনের ৬ বছর পর আদালতে হাজির মৃত ব্যক্তি

আপডেট সময় : ০৯:৫৪:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০

আবারও জিসা মনি কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে নারায়ণগঞ্জে। ছেলে নিখোঁজ হওয়ার পর অপহরণ, খুন ও গুমের অভিযোগ মামালা করেন বাবা। সাক্ষী জবানবন্দী দিয়েছে আদালতে। মামলায় জড়ানো ৫ আসামির কেউ দেড় বছর, কেউ আবার দেড় মাস হাজতবাস করেছেন। এ ঘটনার ৬ বছরের মাথায় আদালতে হাজির খোদ ‘মৃত’ ব্যক্তি!

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফতাবুজ্জামান এর আদালতে মামুনকে হাজির করা হয়। পরে আদালত একজন আইনজীবীর জিম্মায় মামুনকে দেওয়া হয়।

এ নিয়ে আজ আদালতপাড়া ছিল সরগরম। অনেকে জিসা মনি কাণ্ডের সাথে ঘটনাটি তুলনা করে আলোচনা আর সমালোচনা করেছেন।

রিফাত হত্যার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন মিন্নি, দাবি রাষ্ট্রপক্ষের

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১০ মে চাঁদপুরের মতলব নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন মামুন। তখন কোন ডায়েরি কিংবা অভিযোগ করা হয়নি। এরপর ২০১৬ সালের ৯ মে মামুনের কথিত প্রেমিকার বিরুদ্ধে অপহরণের পর খুনের অভিযোগ এনে ফতুল্লা থানায় মামলা করেন বাবা আবুল কালাম। আসামি করা হয় মামুনের কথিত প্রেমিকা তসলিমা, তার বাবা রকমত আলী, ভাই রফিক, খালাতো ভাই সাগর ও সাত্তার মোল্লাকে। মামলার পরে সকল আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পরে মাকসুদা বেগম নামের এক নারীর সাক্ষীতে আসামি কথিত প্রেমিকা তসলিমা ও তার ভাই রফিক দেড় বছর কারাবাস করেছেন। আর আসামি রকমত আলী, সাগর ও সাত্তার ছিলেন দেড় থেকে তিন মাস। সম্প্রতি জানা গেছে ৬ বছর আগে ‘মৃত’ সেই মামুন জীবিত আছেন। পরে বাদী পক্ষের আইনজীবীরা সেই মামুনকে আদালতে হাজির করেন।

‘মৃত ছেলে জীবিত হয়ে আদালতে’ মিথ্যা মামলায় কারাগারে থাকা আসামিদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এমদাদ হোসেন সোহেল শুনানি শেষে সাংবাদিকদের বলেন, নিরীহ, নিরপরাদ মানুষগুলো আজ যে জেল খেটেছে। আমরা তার বিচার চাই। রাষ্ট্রের কাছে ক্ষতিপূরণ চাই। পাশাপাশি বাদী কেন মিথ্যা মামলা করলো, তার জন্য দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেন।