রেজওয়ান উল্লাহ,স্টাফ রির্পোটারঃমাত্র ১০ জন বন্ধু মিলে তিন বছর আগের আজকের দিনে আলোকিত কলারোয়ার কাজ শুরু করেছিল।দেখতে দেখতে তিন বছর পূর্ণ হয়ে আজ চতুর্থ বছরের প্রথম দিন। ১০ জনের পরিবার আজ কলারোয়ার প্রত্যেকটা ইউনিয়নের বেশীরভাগ গ্রামেই পৌঁছে গেছে আলোকিত কলারোয়ার সদস্য। আলোকিত কলারোয়ার সদস্য আজ হাজারের কম নয়।
এই তিন বছরে আরোকিত কলারোয়া চেষ্টা প্রিয় কলারোয়ার জন্য কিছু করতে,প্রিয় কলারোয়ার মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে, গরীব অসহায় রোগীদের চিকিৎসায় অর্থনৈতিক ভাবে সাধ্যমতো অংশগ্রহণ করতে, সবুজ কলারোয়া গড়তে গাছের চারা লাগাতে, ছাত্র এবং যুব সমাজের নৈতিক ও একাডেমিক উন্নয়নের জন্য কাজ করতে,বেকার কর্মঠ যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে, সমাজের সর্বস্তরের মানুষের জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করতে ইত্যাদি।
আলোকিত কলারোয়া যতটুকু করতে পেরেছি হইতো তা চাহিদার তুলনায় কিছুই না। তবে চেষ্টা করেছে আরো বেশী বেশী করার।
গত তিন বছরে আলোকিত কলারোয়ার কাজের একটা ছোট চিত্র আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো
ছাত্র এবং যুবকদের মাঝে বই বিতরণ – ৩০০০ এর উপরে (দুইবারে)।বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপণ – ২৫০০ মেধাবী এবং গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের নিয়মিত এবং এককালীন শিক্ষা বৃত্তি দেওয়া ১৫০-২০০ জনকে ৩ লক্ষাধিক টাকা।গরীব অসহায় রোগীদের চিকিৎসায় সহায়তা অন্তত ২০০+ জনকে ২.৫ – ৩ লক্ষ টাকা। ঈদে খাদ্য সামগ্রী এবং গিফট প্রদান ২লক্ষ টাকার মত।
রমজানে যুবকদের জন্য কুরআন শিক্ষার আসর চালু করা উপজেলার ৩৬ টি মসজিদে।কলারোয়া উপজেলা জুম্মা মসজিদের খতিব এবং বিশিষ্ট আলেমদের মাঝে কুরআনের তাফসির এবং ইসলামী বই করেছে বিতরণ ৬০০ এর অধিক।কলারোয়া উপজেলার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা,রাজনীতিবিদ, শিক্ষক এবং সিভিল সমাজের মাঝে বই বিতরণ করেছে ৫০০ এর অধিক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে ৭ জনের,যেখানে খরচ হয়েছে ১ লক্ষ্যধিক টাকার উপরে( ইঞ্জিন ভ্যান কিনে দিয়েছে -১ টি, বাইসাইকেল ১ টি, সেলাই মেশিন – ১ টি,চায়ের দোকান করে দিয়েছে – ১ জনকে এবং নগদ অর্থ – ২ জনকে), ইয়াতিম ও হেফজখানা, শ্রমিক এবং গরীব অসহায়দের জন্য ইফতার ও ফুড প্রোগ্রাম করেছে- ৫টি।
যুবকদের নিয়ে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট করেছি – ২ টি শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে ২ বারে ৪৫০ পিস (কম্বল), যার মুল্য ১২০০০০ টাকা। সর্বস্তরের মানুষের জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে টিউবওয়েল বসিয়েছে ৫ টি। কন্যাদায়গ্রস্থ পিতা কে মেয়ের বিয়েতে হেল্প করেছে ৪ জনের। ফ্রি রক্ত দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে অন্তত ৩০০+ রোগীর। নিজ দায়িত্বে চিকিৎস্যা করিয়েছে ৯ জনকে করোনা মহামারিতে উপজেলায় মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে ৪ হাজার পিস আলোকিত কলারোয়ার সাধারন সম্পাদক আবুল খায়ের বলেন, আমরা চাই কলারোয়ার সর্বস্তরের মানুষের পাশে দাঁড়াতে।
জাতি, ধর্ম, বর্ণ, দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষের জন্য কাজ করতে। কলারোয়াকে আলোকিত করার এই মিশনে আপনিও আমাদের সাথে ছিলেন, আছেন, থাকবেন এই প্রত্যাশা করছি।