করোনা মহামারীর মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ২০২০ সালে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হয়েছে ৫১ লাখ ৯৯ হাজার ৩৬৪ টাকা। গত বছর দলটির আয় ছিল ১ কোটি ২২ লাখ ৫৩ হাজার ১৪৯ টাকা। আর ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৭৪ লাখ ৫২ হাজার ৫১৩ টাকা।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন ভবনে ইসি সচিব হুমায়ুন কবীরের কাছে বাৎসরিক আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
তিনি জানান, দলীয় সদস্যদের চাঁদা, নমিনেশন ফরম বিক্রি, অনুদান, ব্যাংকের সুদ হিসাব থেকে দলের আয় আসে। সেখান থেকে অফিস স্টাফদের বেতন, বোনাস, ইউটিলিটি বিল, ত্রাণ সহায়তা, আহত নেতা-কর্মীদের সহযোগিতাসহ বিভিন্ন খাতে ব্যয় হয়। আর ব্যাংকের দলীয় একাউন্টের মূলধন থেকে ঘাটতি পূরণ করা হয়েছে বলে জানান এমরান সালেহ প্রিন্স।
টানা তিন বছর বিএনপির তহবিলে কয়েক কোটি টাকার উদ্বৃত্ত থাকলেও ২০১৯ সালে তাদের আয়ে ধস নামে।
ইসিতে ওই বছরের আয়-ব্যয়ের যে হিসাব তারা দিয়েছিল, তাতে ৮৭ লাখ ৫২ হাজার ৭১০ টাকা আয় এবং দুই কোটি ৬৬ লাখ ৮৬ হাজার ১৩৭ টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছিল।
তার আগে নির্বাচনের বছরে ২০১৮ সালে দলটির আয় ছিল নয় কোটি ৮৬ লাখ ৫৬ হাজার ৩৮০ টাকা। আর ব্যয় হয়েছিল তিন কোটি ৭৩ লাখ ২৯ হাজার ১৪৩ টাকা। তখন দলের ছয় কোটি ১৩ লাখ ২৭ হাজার ২৩৭ টাকা উদ্বৃত্ত ছিল।
তার আগের বছর ২০১৭ সালে দলটির আয় ছিল নয় কোটি ৪৬ লাখ ২৪ হাজার ৯০২ টাকা এবং ব্যয় ছিল চার কোটি ১৯ লাখ ৪১ হাজার ৯৫৪ টাকা।
ইসির বেধে দেয়া সময় অনুযায়ী আওয়ামী লীগসহ অন্য দলগুলোকেও হিসাব জমা দিতে হবে। ইতোমধ্যে সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদসহ কয়েকটি দল অডিট রিপোর্ট জমা দিয়েছে।