চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার ২টি ইউনিয়ন নির্বাচনের ভোটের মাঠে ৪ সাংবাদিককে প্রবেশ করতে দেননি নির্বাহী ম্যাজিট্রেট শিবানী সরকার।
শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহ ইউনিয়নের চন্দ্রবাস সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের গেটে এ ঘটনা ঘটে।
গৃহবধূকে ধর্ষণের পর ভিডিও ইন্টারনেটে, যুবক গ্রেফতার
দর্শনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার দামুড়হুদা উপজেলা সংবাদদাতা মুনিরুজ্জামান ধীরু জানান, শনিবার উপজেলার নতিপোতা ও নাটুদহ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন ছিল। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ কার্ডপ্রাপ্ত হয়ে শনিবার সকাল থেকেই নাটুদহ ও নতিপোতা ইউনিয়নের বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ পরিদর্শন শেষে সন্ধ্যা ৬টার সময় নাটুদহ ইউনিয়নের চন্দ্রবাস প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে পৌঁছায়।
এ সময় দর্শনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার দামুড়হুদা উপজেলা সংবাদাতা মুনিরুজ্জামান ধীরু, দর্শনা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার দামুড়হুদা উপজেলা প্রতিনিধি মো. আওয়াল হোসেন, মাই টিভি চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি ইকরামুল হক পিপুল ও দৈনিক জবাবদিহি পত্রিকার দামুড়হুদা সংবাদদাতা সুকমল চন্দ্র দাস (বাঁধন) নির্বাচনী মাঠে প্রবেশ করার জন্য কর্মরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় পুলিশ সদস্যরা জানান ভিতরে ম্যাজিট্রেট কোনো মানুষকে নির্বাচনের মাঠে প্রবেশ করতে নিষেধ করেছেন। তখন পুলিশের মাধ্যমে ওই কেন্দ্রে কর্তব্যরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিবানী সরকারের কাছে বার্তা পাঠিয়ে নির্বাচনের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে মাঠে প্রবেশ করতে চান তারা।
কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট সাংবাদিকদের মাঠে আসার কোনো প্রয়োজন নেই বলে জানিয়ে দেন। এরপর মোবাইল ফোনেও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিবানী সরকারের কাছে মাঠে প্রবেশের অনুমতি চাইলে তিনি নাকচ করে দেন।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিবানী সরকার বলেন, নির্বাচনী কেন্দ্রে প্রবেশ করার কোনো আইন নেই। বিষয়টি রিটার্নিং অফিসারের কাছে জেনে নিয়েন।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাচনী ও রিটার্নিং অফিসার এমএজি মোস্তফা ফেরদৌস বলেন, সাংবাদিকরা যে কোনো সময় নির্বাচনী মাঠে প্রবেশ করতে পারবেন, এতে কোনো বাধা নেই।