ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদির স্বাভাবিক সম্পর্ক যেকোনো সময় হতে পারে, তবে এর আগে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন আলোচনায় বসার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার পক্রিয়া শুরু হওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট ফর নিয়ার ইস্ট স্টাডিজের সঙ্গে এক অনলাইন সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে সাক্ষাৎকারটি প্রচার করা হয়। সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান বলেন, ১৯৮১ সালের সৌদি আরবের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনায় ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত।
ভার্চুয়াল সাক্ষাতকারে প্রিন্স ফয়সাল জানান, ‘আমি মনে করি, এখন ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল কর্তৃপক্ষকে আলোচনার টেবিলে বসা খুবই জরুরি। ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের সমঝোতার মাধ্যমে স্থায়ী শান্তি ও টেকশই স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির একমাত্র পথ।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। তা আঞ্চলিক কৌশলের অংশও বটে। তারই অংশ হিসেবে শেষ পর্যায়ে ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক হবে। আরব পিস ইনিশিয়েটিভ-এ এভাবেই প্রস্তাবনা পেশ করা হয়। ১৯৮১ সালেও সৌদি এমনটি প্রস্তাব করে। তাই আমরা সব সময় মনে করি, স্বাভাবিক সম্পর্ক শিগগির তৈরি হবে। তবে এর আগে আমাদের ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ও ফিলিস্তিন-ইসরায়েল শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে।’
গত ১৫ সেপ্টেম্বর ইসরায়েলের সঙ্গে আরব আমিরাত ও বাহরাইন স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপনের পর সৌদিকে নিয়ে তৈরি হয় নানা রকম জল্পনা-কল্পনা।
ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউটকে দেওয়া সাক্ষাতকা ফয়সাল আরো জানান, ২০১৭ সালে কাতারের ওপর সৌদি, আমিরাত, বাহরাইন ও মিশরের আরোপিত রাজনীতি, বাণিজ্য ও পরিবহন অবরোধের শিগগির সমাধান হতে যাচ্ছে।
চার আরব দেশ কাতাররের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসবাদে সহযোগিতা ও আঞ্চলিক শত্রু ইরানকে সহায়তা’র অভিযোগ আনে। অভিযোগ অস্বীকার করে কাতার জানায়, অবরোধের মাধ্যমে উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলো দেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলতে চায়।
প্রিন্স ফয়সাল বলেন, ‘নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ থেকে রক্ষা পেতে আমরা একটি সিদ্ধান্ত নিতে পারব মনে করি। অতি শিগগির আমরা একটি সমাধান খুঁজে পাব বলে আশা করি।’
সূত্র : রয়টার্স