দেশের পাঁচটি উপ-নির্বাচনে অংশ নিলেও প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় পাশে নেই বিএনপির হাইকমান্ড। সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, অভ্যন্তরীণ কোন্দল, মনোনয়ন বাণিজ্য ও মাঠপর্যায়ে জনপ্রিয়তা না থাকার কারণেই দলের মধ্যে বিভাজনের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া শুধুমাত্র তারেক রহমানের একক সিদ্ধান্তে উপ-নির্বাচনে অংশ নেয়ায় দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা এ নির্বাচনের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। আর এ কারণেই তারা দলীয় প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা অংশ নিচ্ছেন না।
গত ২৬ সেপ্টেম্বরের অনুষ্ঠিত পাবনা-৪ আসনের উপ-নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব। ওই নির্বাচনে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ৬ হাজারের কম ভোট পেয়েছিলেন তিনি।
ধানের শীষের গণসংযোগে আবারও হামলা
যদিও ওই নির্বাচনে তিনি কারচুপির অভিযোগ করেছেন। তবে স্থানীয় জনগণ বলছে, নির্বাচনে আদৌ কোনো কারচুপি হয়নি। বিএনপির ভোটাররাই ভোট দিতে যাননি। ওই নির্বাচনের আগে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে একটি বারের মতো তার নির্বাচনী এলাকায় আসতে অনুরোধ করেছিলেন হাবিব। কিন্তু হাবিবের ডাকে সায় দেননি মির্জা ফখরুল। এমনকি বিএনপির উচ্চ পদস্থ কোনো নেতাই পাবনায় গিয়ে হাবিবের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেননি।
উপ-নির্বাচনগুলোতে বিএনপি অনেক সুবিধাজনক অবস্থানে আছে প্রচারণার ব্যাপারে। স্থায়ী কমিটির কোনো নেতাই এমপি নন। অথচ বিএনপি এই সুযোগটি কেন কাজে লাগাতে পারছে না, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে খোদ বিএনপিতেই।
শুধু পাবনা-৪ নয়, সামনে ঢাকা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিএনপির টিকিট দেয়া হয়েছে আরেক কেন্দ্রীয় নেতা সালাউদ্দিন আহমেদকে। নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর প্রাক্কালে সালাউদ্দিনও বিএনপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। কিন্তু প্রচারণায় অংশ নেয়ার ব্যাপারে বিএনপির কোনো নেতাই ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন সালাউদ্দিনের ঘনিষ্ঠরা।
বিএনপির এমপি প্রার্থী সালাউদ্দিনের ঘনিষ্ঠ একজন বিএনপি নেতা বলেছেন, করোনা অসুস্থতা ইত্যাদি নানা অজুহাতে বিএনপি নেতারা দায়িত্ব এড়াতে চাইছেন।
বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে, তারেক জিয়ার চাপিয়ে দেয়া এই নির্বাচনের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন বিএনপি অর্ধেকের বেশি স্থায়ী কমিটির সদস্য। তারা এই নির্বাচনকে অর্থহীন মনে করেন। আবার অনেক নেতাই মনে করেন নির্বাচনের মাঠে নামলে টাকা-পয়সা খরচ করতে হবে। এখন নিজের পকেট থেকে টাকা খরচ করতে চান না কোনো নেতাই।