উড়োজাহাজে কাবুল ছাড়ল আরও ৫ হাজার মানুষ: তালেবানের হাতে কাবুল পতনের পর থেকেই জরুরি ভিত্তিতে আফগানিস্তান ছাড়ছেন দেশটিতে অবস্থান করা বিদেশি নাগরিকেরা। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির আজ বৃহস্পতিবারের খবরে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টা কাবুল বিমানবন্দর হয়েছে দেশ ছেড়েছেন পাঁচ হাজার মানুষ।
চলতি মাসের ৩১ তারিখে মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের কথা রয়েছে। এই সময়সীমাকে সামনে রেখে দেশটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের কর্মী, মার্কিন নাগরিক এবং বিগত বছরগুলোয় যুক্তরাষ্ট্রকে নানাভাবে সহায়তা করা আফগানদের ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া কাবুল তালেবানের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ার পর হামলা এড়াতে তড়িঘড়ি করে নিজ নাগরিক ও কর্মীদের ফিরিয়ে নেওয়া শুরু করে কয়েকটি দেশ ও সংস্থা। আসন্ন হুমকির মুখে দেশ ছাড়তে কাবুল বিমানবন্দরে হাজার হাজার আফগানের ভিড়ও দেখা যায়।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, নিজেদের নাগরিকদের সরিয়ে নিতে ১৫টি দেশ থেকে বেশ কয়েকটি উড়োজাহাজ কাবুলে পাঠানো হয়েছে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রই সরিয়ে নিয়েছে দুই হাজার যাত্রী। তাঁদের মধ্যে ৩২৫ জন মার্কিন নাগরিক।
চলতি মাসের মধ্যে কাবুল থেকে ৩০ হাজারের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার কথা ভাবছে মার্কিন সেনাবাহিনী। দেশটির প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ‘যত বেশি সম্ভব মানুষকে আফগানিস্তানের বাইরে নেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আমরা দিনে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদে নেওয়ার চিন্তা করছি।’ আফগানিস্তানে এখনো ১১ হাজারের মতো মার্কিন নাগরিক রয়েছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি নিজ দেশের নাগরিকসহ আফগানদের কাবুল থেকে সরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছে ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন, পোল্যান্ড এবং চেক রিপাবলিকও।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেছেন, বিমানবন্দরের চারপাশে থাকা তালেবান সদস্যরা কোনো আফগানকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া বিমানবন্দরে ঢুকতে দিচ্ছেন না। তবে তাঁরা মার্কিন পাসপোর্টধারীদের বাধা দিচ্ছেন না।