ঘর সাজাতে কম-বেশি সবাই পছন্দ করেন। অনেকেই নিজের প্রিয় ঘরটিকে নানা রঙে নানা ঢঙে আরও আকর্ষণীয় করে তোলেন। আপনার ঘরে নান্দনিকতার ছোঁয়া দিতে কাচের ভেতরে সাজাতে পারেন এক টুকরো সবুজ বাগান। ঘরের শোভা বাড়াতে যা আপনি রাখতে পারেন টেবিলে কিংবা মানানসই কোনো জায়গায়।
পাহাড়ের ধারে দেখা নুড়ি-পাথরে ঘেরা এক টুকরো সবুজ যদি থাকে আপনার বসার ঘরে, তবে মন্দ কি? কাচের ভেতর এমনই এক সবুজ বাগান আপনি সাজিয়ে ফেলতে পারেন খুব সহজেই। কাচের ভেতর এই সবুজ বাগানকে বলা হয় টেরারিয়াম। চলুন এবার জেনে নেয়া যাক টেরারিয়াম তৈরি করার পদ্ধতি-
টেরারিয়াম তৈরি করবেন যেভাবে
>> টেরারিয়াম তৈরির সব উপকরণই পেয়ে যাবেন হাতের নাগালে। পাত্র হিসেবে বেছে নিন কাচের ফিশ বোল, জার বা বড় অ্যাকুয়ারিয়ামের পাত্র। চাইলে নষ্ট বাল্বের মধ্যেও সাজিয়ে ফেলতে পারেন বাগান।
>> এরপর লাগবে কিছু পাথরের টুকরো, কাঠ-কয়লা বা চারকোল, নুড়ি, শুকনো বালি, পাথর, মাটি, পুরনো দেয়ালে জন্মানো মস, ঘরের ভেতরে জন্মায় এমন তিন-চার প্রকারের গাছ।
>> টেরারিয়ামের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করতে হবে মাটি। কারণ এই মাটির কয়েকটি স্তর থাকে। মাটি আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারবে এমন উপাদান থাকে। তার সঙ্গে মাটির মধ্য দিয়ে যেন বাতাস চলাচল করতে পারে, জমাট না বেধে যায় আবার অতিরিক্ত পানিও বেরিয়ে যেতে পারে, সেই ব্যবস্থাও করতে হবে।
>> প্রথমে কাচের পাত্রের নিচে ছোট ছোট পাথরের টুকরো দিয়ে দেড় ইঞ্চি পুরু স্তর বানাতে হবে। এরপর দিতে হবে কাঠ-কয়লার স্তর। এই দুটি স্তর অতিরিক্ত পানি শোষণ করে নেবে। একই সঙ্গে কাঠ-কয়লা বাতাস চলাচলে সহায়তা করবে।
>> পাথর ও কাঠ-কয়লার স্তরের ওপর ব্যবহার করতে হবে মাটির স্তর। তবে এ মাটির স্তরের পুরুত্ব নির্ভর করবে কী ধরনের গাছ লাগাবেন তার ওপর।
>> এবার পছন্দ মতো তিন-চার প্রকারের গাছ লাগিয়ে নুড়ি-পাথর দিয়ে সাজিয়ে নিন ইচ্ছে মতো। গাছ পছন্দের ক্ষেত্রে সাকুলেন্ট জাতীয় (যেসব গাছ কাণ্ড, শাখা-প্রশাখা, পাতা বা মূল পানি জমিয়ে রাখে) গাছ নির্বাচন করা যেতে পারে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ফার্ন ও মস রাখা যেতে পারে।
জেনে রাখুন
>> টেরারিয়াম রোদে রাখা যায় না।
>> সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য প্লাস্টিকের ছোট খেলনা রাখতে পারেন।
>> টেরারিয়ামে প্রয়োজন অনুযায়ী পানি স্প্রে করতে হবে। অতিরিক্ত পানি দেয়া যাবে না।
>> অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে কাচের গায়ে জলীয় বাষ্প জমলে ওপরের ঢাকনাটা খুলে দিতে হবে।
>> বিভিন্ন পোকার সংক্রমণ থেকে গাছকে বাঁচাতে কীটনাশক এবং ছত্রাকনাশক ব্যবহার করতে হবে।