ঢাকা ১০:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo কিশোরগঞ্জে হাতপাখা প্রতীকের সমর্থনে বর্ণাঢ্য মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা Logo খাগড়াছড়িতে রোকেয়া দিবসে “অদম্য নারী সম্মাননা” পেলো ৩ নারী Logo নাইক্ষ্যংছড়িতে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ Logo কিশোরগঞ্জে-১ আসনে কাস্তে প্রতীকের প্রার্থী এনামুল হকের সমর্থনে গণমিছিল  Logo পানছড়িতে পিসিসিপি’র শীতবস্ত্র বিতরণ Logo পানছড়িতে জামায়াত প্রার্থীর গনসংযোগ ও মতবিনিময় Logo পানছড়িতে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় চোরাই পণ্য আটক Logo চাঁদা না দেওয়ায় বাড়ি নির্মাণে বাধা, ভূমি দখলচেষ্টা ও হত্যার হুমকির Logo ইকরা গার্মেন্টসের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo আবার মাইনাস তৎপরতায় ডিপ স্টেট: মাসুদ কামাল

এবার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া

Astha DESK
  • আপডেট সময় : ০৬:৩০:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১২০১ বার পড়া হয়েছে

এবার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

অস্ট্রেলিয়ার ট্রেজারার জিম চালমার্স স্পষ্টভাবে বলেছেন, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া শুধু সময়ের ব্যাপার। এই বক্তব্যটা পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওয়ংও বছরখানেক আগে দিয়েছিলেন।

তবে এবার তিনি আরও জোর দিয়ে বলছেন, ‘স্বীকৃতির পেছনে যে তাগিদ, সেটার কারণ হলো—যদি দুনিয়া এখনই পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে হয়তো এমন এক সময় আসবে যখন আর কোনো ফিলিস্তিন থাকবেই না, যাকে স্বীকৃতি দেওয়া যাবে।

সরকারের জন্য এই স্বীকৃতি দেওয়ার প্রশ্নটা শুধু আন্তর্জাতিক কূটনীতি নয়, বরং ঘরোয়া রাজনীতিরও বড় অংশ। মধ্যপ্রাচ্যের ঘটনাবলিতে অস্ট্রেলিয়ার সরাসরি প্রভাব প্রায় নেই।

তবে অস্ট্রেলিয়ান জনগণ ক্রমেই গাজায় মানবিক সংকটের ভয়াবহ ছবি দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে। গণমাধ্যমে প্রচারিত ছবি, ভিডিও এবং প্রতিবেদনগুলি মানুষের মন গলাচ্ছে, যেমনটা ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় আমেরিকান জনগণের ক্ষেত্রে হয়েছিল।

তবুও এখনো পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া ‘স্বীকৃতি’ নিয়ে একধরনের অনিশ্চয়তায় আছে। গন্তব্যটা যেন পরিষ্কার, তবে কবে পৌঁছাবে—সেটা অস্পষ্ট।

পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সময় অস্ট্রেলিয়া স্বীকৃতি দিতে পারে। সেসময় প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ জাতিসংঘে ভাষণ দেবেন।

স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা জাতিসংঘ অধিবেশন শুরুর আগেই বা তার সপ্তাহেই আসতে পারে।

ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য এবং কানাডা ইতোমধ্যে ফিলিস্তিন স্বীকৃতির প্রশ্নে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। যদিও যুক্তরাজ্য ও কানাডা কিছু শর্তসাপেক্ষে সেটা বিবেচনা করছে।

জুলাইয়ের শেষদিকে এক প্রশ্নের জবাবে আলবানিজ বলেন, ‘আমরা এটা কোনো প্রতীকী পদক্ষেপ হিসেবে করব না। যদি প্রাসঙ্গিক শর্ত পূরণ হয়, তখনই আমরা এটা করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই রাষ্ট্রে হামাসের কোনো প্রভাব থাকবে না, এটা কীভাবে নিশ্চিত করা যায়? এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের কার্যক্রম যেন ইসরায়েলের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে না ফেলে, সেটা নিশ্চিত করার উপায় কী?’

বর্তমানে এসব প্রশ্নের ইতিবাচক উত্তর পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। এমনকি ইসরায়েলের নেতানিয়াহু সরকারও অধিকাংশ দেশের স্বীকৃতিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না।

তবে এসবের বাইরেও, প্রধানমন্ত্রী আলবানিজের ব্যক্তিগতভাবে দীর্ঘদিনের প্রো-ফিলিস্তিন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। তার উপর লেবার পার্টির অভ্যন্তরীণ চাপ ক্রমেই বাড়ছে। দলীয় সদস্য এবং সমর্থকদের বড় অংশই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির পক্ষে।

গত সপ্তাহে সিডনি হারবার ব্রিজে ফিলিস্তিনপন্থী বিশাল মিছিল। সেই মিছেলে আনুমানিক ৯০ হাজার মানুষ অংশ নিয়েছিল।

ট্যাগস :

এবার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া

আপডেট সময় : ০৬:৩০:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

এবার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

অস্ট্রেলিয়ার ট্রেজারার জিম চালমার্স স্পষ্টভাবে বলেছেন, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া শুধু সময়ের ব্যাপার। এই বক্তব্যটা পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওয়ংও বছরখানেক আগে দিয়েছিলেন।

তবে এবার তিনি আরও জোর দিয়ে বলছেন, ‘স্বীকৃতির পেছনে যে তাগিদ, সেটার কারণ হলো—যদি দুনিয়া এখনই পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে হয়তো এমন এক সময় আসবে যখন আর কোনো ফিলিস্তিন থাকবেই না, যাকে স্বীকৃতি দেওয়া যাবে।

সরকারের জন্য এই স্বীকৃতি দেওয়ার প্রশ্নটা শুধু আন্তর্জাতিক কূটনীতি নয়, বরং ঘরোয়া রাজনীতিরও বড় অংশ। মধ্যপ্রাচ্যের ঘটনাবলিতে অস্ট্রেলিয়ার সরাসরি প্রভাব প্রায় নেই।

তবে অস্ট্রেলিয়ান জনগণ ক্রমেই গাজায় মানবিক সংকটের ভয়াবহ ছবি দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে। গণমাধ্যমে প্রচারিত ছবি, ভিডিও এবং প্রতিবেদনগুলি মানুষের মন গলাচ্ছে, যেমনটা ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় আমেরিকান জনগণের ক্ষেত্রে হয়েছিল।

তবুও এখনো পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া ‘স্বীকৃতি’ নিয়ে একধরনের অনিশ্চয়তায় আছে। গন্তব্যটা যেন পরিষ্কার, তবে কবে পৌঁছাবে—সেটা অস্পষ্ট।

পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সময় অস্ট্রেলিয়া স্বীকৃতি দিতে পারে। সেসময় প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ জাতিসংঘে ভাষণ দেবেন।

স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা জাতিসংঘ অধিবেশন শুরুর আগেই বা তার সপ্তাহেই আসতে পারে।

ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য এবং কানাডা ইতোমধ্যে ফিলিস্তিন স্বীকৃতির প্রশ্নে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। যদিও যুক্তরাজ্য ও কানাডা কিছু শর্তসাপেক্ষে সেটা বিবেচনা করছে।

জুলাইয়ের শেষদিকে এক প্রশ্নের জবাবে আলবানিজ বলেন, ‘আমরা এটা কোনো প্রতীকী পদক্ষেপ হিসেবে করব না। যদি প্রাসঙ্গিক শর্ত পূরণ হয়, তখনই আমরা এটা করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই রাষ্ট্রে হামাসের কোনো প্রভাব থাকবে না, এটা কীভাবে নিশ্চিত করা যায়? এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের কার্যক্রম যেন ইসরায়েলের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে না ফেলে, সেটা নিশ্চিত করার উপায় কী?’

বর্তমানে এসব প্রশ্নের ইতিবাচক উত্তর পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। এমনকি ইসরায়েলের নেতানিয়াহু সরকারও অধিকাংশ দেশের স্বীকৃতিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না।

তবে এসবের বাইরেও, প্রধানমন্ত্রী আলবানিজের ব্যক্তিগতভাবে দীর্ঘদিনের প্রো-ফিলিস্তিন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। তার উপর লেবার পার্টির অভ্যন্তরীণ চাপ ক্রমেই বাড়ছে। দলীয় সদস্য এবং সমর্থকদের বড় অংশই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির পক্ষে।

গত সপ্তাহে সিডনি হারবার ব্রিজে ফিলিস্তিনপন্থী বিশাল মিছিল। সেই মিছেলে আনুমানিক ৯০ হাজার মানুষ অংশ নিয়েছিল।