DoinikAstha Epaper Version
ঢাকাবুধবার ২৭শে নভেম্বর ২০২৪
ঢাকাবুধবার ২৭শে নভেম্বর ২০২৪

আজকের সর্বশেষ সবখবর

এমসি কলেজে গণধর্ষণ: আসামিদের দেখে জানোয়ার জানোয়ার স্লোগান

News Editor
সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০ ৬:৪৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামিদের কড়া পুলিশ পাহারায় প্রিজনভ্যানে করে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাদের আদালতে তোলা হয়।

এ সময় মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান ও অর্জুন লস্করকে দেখে জড়ো হওয়া উৎসুক জনতা তাদের প্রতি তীব্র ক্ষোভ ও ঘৃণা প্রকাশ করেন।

এমসি কলেজে গণধর্ষণ: আসামিদের পক্ষে দাঁড়াননি কোনো আইনজীবী

সাইফুর ও অর্জুনকে আদালত চত্বরে হাজির করার পর পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে বিক্ষোভ করেন উপস্থিত জনতা। এই দুই আসামিকে নিয়ে আসার পর আদালতে চত্বরে শতাধিক জনতা তাদের দেখে ‘ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই’ স্লোগান শুরু করেন।

একই সঙ্গে ‘জানোয়ার, জানোয়ার’ বলেও স্লোগান দেন স্থানীয় জনতা। কেউ কেউ ‘মার, মার’ বলেও উদ্যত হন। তবে পুলিশ তৎপর থাকায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। জনতার এই ক্ষোভের মধ্যেই পুলিশ নিরাপত্তাবেষ্টনী তৈরি করে সাইফুর ও অর্জুনকে সিলেট মহানগর হাকিম দ্বিতীয় আদালতে হাজির করা হয়।

গত শুক্রবার বিকেলে স্বামীর সঙ্গে এমসি কলেজে বেড়াতে গিয়েছিলেন এক গৃহবধূ। সন্ধ্যায় তাদের কলেজ থেকে ছাত্রাবাসে ধরে নিয়ে যায় ছাত্রলীগের ছয়-সাত নেতাকর্মী। এরপর দুইজনকে মারধর করা হয়। একই সঙ্গে স্বামীকে আটকে রেখে তার সামনে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করে তারা। খবর পেয়ে রাতে ছাত্রাবাস থেকে ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ধর্ষণের শিকার হওয়া নারীকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করা হয়।

রোববার দুপুরে সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২২ ধারায় ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরে জবানবন্দি দেন নির্যাতিত গৃহবধূ। এরপর তাকে আবার হাসপাতালে নেয়া হয়।

এ ঘটনায় শনিবার ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন গৃহবধূর স্বামী। পুলিশ রোববার সকালে সুনামগঞ্জের ছাতক থেকে সাইফুর রহমান ও হবিগঞ্জের মাধবপুরের মনতলা থেকে অর্জুন লস্করকে গ্রেফতার করে। তারা দুজনই সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আরো পড়ুন :  নলছিটিতে নদী-খালে অবৈধ বাধ অপসারণ ও লীজ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন

এ ঘটনায় করা মামলায় আসামিরা হলেন- সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), হবিগঞ্জ সদরের বাগুনিপাড়ার শাহ মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর (২৫), দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের রবিউল হাসান (২৫) ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫)। এছাড়া অজ্ঞাত আর তিনজনকে আসামি করা হয়।

এ পর্যন্ত মামলার এজাহারভুক্ত চার আসামিসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনও পলাতক রয়েছেন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫) ও তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮)। তাদের গ্রেফতারে মাঠে কাজ করছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৫:০০
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৫:১৪
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:০৫
  • ১১:৪৯
  • ৩:৩৫
  • ৫:১৪
  • ৬:৩১
  • ৬:২০