ঢাকা ০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এমসি কলেজে গণধর্ষণ: ধর্ষকদের ধরতে সীমান্তে কড়া নজরদারি

News Editor
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৯:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১০৬৬ বার পড়া হয়েছে

সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে তরুণীকে গণধর্ষণের মামলায় প্রধান আসামি ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমান ও ৪ নম্বর আসামি অর্জুন লস্করকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুনামগঞ্জ থেকে সাইফুর ও হবিগঞ্জ থেকে অর্জুনকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া অন্য আসামিরা যাতে কোনোভাবে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য সিলেটের সীমান্ত এলাকায় কড়া নজরদারি জারি করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ এমসি কলেজে গণধর্ষণ: ঘটনা চাপা দেয়ার চেষ্টা করেন স্থানীয় আ.লীগ নেতারা!

সিলেট এমসি কলেজে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দেশজুড়ে সমালোচনার মধ্যে রোববার দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতারের কথা জানালো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী। পুলিশ জানায়, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান শুরু হয়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সুনামগঞ্জের ছাতকে অভিযান চালানো হয়। এ সময় গ্রেফতার হয় ধর্ষণকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমান। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে হেফাজতে নেবে সিলেটের শাহপরান থানা পুলিশ।

একই সময়ে হবিগঞ্জের মাধপুরের মনতোলা সীমান্ত এলাকায়ও অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় গ্রেফতার হয় মামলার ৪ নম্বর আসামি আরেক ছাত্রলীগ নেতা অর্জুন লস্কর। সেখান থেকে তাকে নেয়া হয় সিলেট পুলিশ সুপার কার্যালয়ে।

এ প্রসঙ্গে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, সহযোগীসহ বাকি সবাইকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি আমরা।

ধর্ষণে অপর অভিযুক্তদের পালানো ঠেকাতে সিলেট বিভাগের সীমান্ত এলাকায় কড়া নজরদারি জারি করা হয়েছে।

এদিকে ওসমানী মেডিকেলে চিকিৎসা চলছে নির্যাতিতা গৃহবধূর। শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকায় তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বামীকে নিয়ে এমসি কলেজে ঘুরতে গিয়েছিলেন ওই তরুণী। এ সময় ক্যাম্পাস থেকে তাদেরকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় কলেজ ছাত্রাবাসে। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে সাইফুরসহ ছাত্রলীগের কয়েকজনের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে ওই তরুণী ও তার স্বামীকে উদ্ধার করে শাহপরান থানা পুলিশ।

এ ঘটনায় ছাত্রলীগের ৬ জনের নাম উল্লেখসহ ৯ জনকে আসামি করে শাহপরান থানায় মামলা করা হয়। এছাড়া শুক্রবার রাতে ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমানের কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে পাইপগানসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায়ও মামলা করে পুলিশ। ওই মামলায়ও প্রধান আসামি হিসেবে রয়েছে সাইফুরের নাম।

এমসি কলেজে গণধর্ষণ: ধর্ষকদের ধরতে সীমান্তে কড়া নজরদারি

আপডেট সময় : ০৩:৪৯:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে তরুণীকে গণধর্ষণের মামলায় প্রধান আসামি ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমান ও ৪ নম্বর আসামি অর্জুন লস্করকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুনামগঞ্জ থেকে সাইফুর ও হবিগঞ্জ থেকে অর্জুনকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া অন্য আসামিরা যাতে কোনোভাবে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য সিলেটের সীমান্ত এলাকায় কড়া নজরদারি জারি করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ এমসি কলেজে গণধর্ষণ: ঘটনা চাপা দেয়ার চেষ্টা করেন স্থানীয় আ.লীগ নেতারা!

সিলেট এমসি কলেজে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দেশজুড়ে সমালোচনার মধ্যে রোববার দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতারের কথা জানালো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী। পুলিশ জানায়, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান শুরু হয়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সুনামগঞ্জের ছাতকে অভিযান চালানো হয়। এ সময় গ্রেফতার হয় ধর্ষণকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমান। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে হেফাজতে নেবে সিলেটের শাহপরান থানা পুলিশ।

একই সময়ে হবিগঞ্জের মাধপুরের মনতোলা সীমান্ত এলাকায়ও অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় গ্রেফতার হয় মামলার ৪ নম্বর আসামি আরেক ছাত্রলীগ নেতা অর্জুন লস্কর। সেখান থেকে তাকে নেয়া হয় সিলেট পুলিশ সুপার কার্যালয়ে।

এ প্রসঙ্গে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, সহযোগীসহ বাকি সবাইকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি আমরা।

ধর্ষণে অপর অভিযুক্তদের পালানো ঠেকাতে সিলেট বিভাগের সীমান্ত এলাকায় কড়া নজরদারি জারি করা হয়েছে।

এদিকে ওসমানী মেডিকেলে চিকিৎসা চলছে নির্যাতিতা গৃহবধূর। শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকায় তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বামীকে নিয়ে এমসি কলেজে ঘুরতে গিয়েছিলেন ওই তরুণী। এ সময় ক্যাম্পাস থেকে তাদেরকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় কলেজ ছাত্রাবাসে। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে সাইফুরসহ ছাত্রলীগের কয়েকজনের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে ওই তরুণী ও তার স্বামীকে উদ্ধার করে শাহপরান থানা পুলিশ।

এ ঘটনায় ছাত্রলীগের ৬ জনের নাম উল্লেখসহ ৯ জনকে আসামি করে শাহপরান থানায় মামলা করা হয়। এছাড়া শুক্রবার রাতে ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমানের কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে পাইপগানসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায়ও মামলা করে পুলিশ। ওই মামলায়ও প্রধান আসামি হিসেবে রয়েছে সাইফুরের নাম।