ভৈরব নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনেছেন জলমহাল ইজারাদার ও মৎস্যজীবীরা। বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) সকাল সময় ভৈরব পৌরসভার সামনে ইজারাদার আহাম্মদ মিয়ার নেতৃত্বে এ মানবন্ধনে শতাধিক মৎস্যজীবী অংশ গ্রহণ করেন।
এ সময় বক্তারা, নদীতে জেলেদের কাছে চাঁদা দাবি, মৎস্য আহরণের উপকরণ নিয়ে বিক্রি করে দেয়ার মতো অভিযোগও করেন।
ধর্ষকদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে: স্পিকার
মানবন্ধনে ইজারাদার ও মৎস্যজীবীরা বলেন, ভৈরব উপজেলার ইজারাকৃত ব্রহ্মপুত্র নদী জলমহালে মৎস্য আইন মেনে মাছের জন্য অভয়াশ্রম করা হয়। ভৈরব নৌ থানার ওসি তরিকুল ইলাম ইজারাকৃত জলমহালের মাছের অভয়াশ্রম ভেঙে ফেলেন।
ইজারাদার আহাম্মদ মিয়া বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবত নদী ইজারা নিয়ে মাছের অভয়াশ্রম তৈরি করে জেলেদের মাছ আহরণের সুযোগ করে দিয়েছি। কিছুদিন যাবত ভৈরব নৌ থানার ওসি তরিকুল ইসলাম, এস আই রাসেলসহ কতিপয় অফিসার মাছের অভয়াশ্রম ভেঙে ফেলাসহ জেলেদের মারধর করেছেন। তাদের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছেন।
কিছু কিছু জেলে ভয়ে তাদের টাকাও দিয়েছেন। কিছুদিন পূর্বেও পুলিশ মাছের জন্য তৈরিকৃত অভয়াশ্রম ভেঙে বাঁতুলে নিয়ে এসে বাজারে বাঁশ বিক্রয় করে দেন।
ওসি তরিকুলের অত্যাচার হতে রেহায় পেতে সরকারী জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতি ২০০৯ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক, ভৈরব সহকারি কমিশনার (ভূমি), সহকারি কমিশনার (গোপনীয়), জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ও ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহিন বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
মৎস্যজীবীরা আরো বলেন, ওসি তরিকুলের চাঁদাবাজির কাছে আমরা অসহায়। তার দাবিকৃত চাঁদা পরিশোধ করার মত অর্থ আমাদের নেই। নদীতে মাছ ধরতে যাওয়ায় বাধা দেন। টাকা দিতে না পারলে জেলেদের ওপর অত্যাচার চালায়। পরিবার পরিজন নিয়ে না খেয়ে মরার অবস্থা হয়েছে আমাদের। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ওসি তরিকুলের বিচার চাই।
এ ব্যাপারে নৌ থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, নদী ইজারা দেয়ার নিয়ম থাকলে প্রবাহমান নদীর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি আইন বিরোধী ঘের দেয়ায় বাধা দেয়া হয়েছে।
তবে চাঁদা দাবি বা জেলেদের মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।