আবহাওয়া পরিবর্তন বা অন্য কোনও কারণে আজকাল প্রায়ই জ্বর-সর্দি হয়ে থাকে। একদিন থেকে দুই দিনে গড়ালেই ছুটে চলেন ফার্মেসিতে। কয়েকটা অ্যান্টিবায়োটিকে হয়তো সাময়িক সময়ের জন্য মুক্তি পাওয়া যায় সমস্যা থেকে। কিন্তু এই সমস্যা পরবর্তীতে আবার বড় কোনও সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
প্রাচীনকাল থেকে মানুষ কিছু কৌশল অবলম্বন করছেন। এমনকি কিছু কিছু চিকিৎসার ক্ষেত্রেও। অবশ্য এখন কাজেও লাগে তা। ভেষজ ঔষধে যে গুণাগুণ রয়েছে তা কিন্তু একদমই অবিশ্বাস করার কোনও উপায় নেই। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে, মধু ও দারুচিনির মিশ্রণ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী এবং ছোট-খাটো অনেক অসুখ-বিসুখ থেকে মুক্তি দিয়ে থাকে। এবার তাহলে মধু ও দারুচিনির স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক
হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো : হৃদয়কে সুস্থ রাখতে মধু ও দারুচিনির মিশ্রণের কোনও বিকল্প নেই। প্রতিদিন সকালে জ্যাম-জেলি বা মাখনের পরিবর্তে পাউরুটিতে এই মিশ্রণটি মাখিয়ে নিয়মিত খাওয়া শুরু করুন। এতে করে রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমবে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যাবে।
বাতের ব্যথা কমানো : প্রথমে এক গ্লাস পানি গরম করে নিয়ে তাতে দুই টেবিল চামচ মধু ও এক টেবিল চামচ দারুচিনির গুঁড়ো ভালো করে মিশিয়ে নিন। নিয়ম করে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমানোর আগে পান করুন। দীর্ঘমেয়াদি বাত বা আর্থারাইটিস জনিত সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে।
পিত্ত থলির সংক্রমণ প্রতিরোধ : পিত্ত থলিতে অনেকের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ধরা পড়ে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রতিদিন এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে এক টেবিল চামচ মধু ও দুই টেবিল চামচ দারুচিনির গুঁড়া মিশিয়ে পান করুন। ভালো উপকার পাবেন।
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় : পূর্ণ এক কাপ চায়ের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ মধু ও তিন টেবিল চামচ দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন। পান করার মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা ১০ শতাংশ কমে যাবে। আপনার রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি হলে নিয়মিত এই পানীয়টি পান করা শুরু করুন।
ফ্লু : মধুতে প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধী বিভিন্ন ক্ষমতা রয়েছে যা ফ্লুয়ের জন্য দায়ী সংক্রমণকে ধ্বংস করে দেয় এবং ফ্লু থেকে রক্ষা করে থাকে শরীরকে