করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিলেও লকডাউনে যাওয়ার কথা ভাবছে না সরকার। মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে এ কথা জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে নিজস্ব পরিকল্পনা প্রণয়ন করে সাত দিনের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জমা দিতে বলা হয়েছে। বিমানবন্দরগুলোতে নজরদারির দায়িত্বে থাকবে সেনাবাহিনী।
গেল কয়েকদিন ধরেই স্বয়ং সরকার প্রধানের ইঙ্গিতের পর কিছুটা নড়েচড়ে বসেছে মন্ত্রণালয়গুলো। কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ এলে তা সামাল দিতে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হবে, তা নিয়েই চলছে প্রতিরোধ পরিকল্পনার কাজ৷
আর পড়ুন : ভারতে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ৭৫ হাজার ৮৩ জন, ১০৫৩ জনের মৃত্যু
মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আহ্বানে বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সচিবদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা। ২ ঘণ্টা রু’দ্ধদ্বার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের বলেন, মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নেয়া হচ্ছ। এ সময়, সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার জানান, বিমান বন্দরে যাত্রীদের আসা -যাওয়া তদারকির পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা রাখা হবে প্রয়োজন মাফিক।
সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জে. মাহফুজুর রহমান বলেন, যারা বাইরে থেকে আসবে তাদের করোনা নেই তার সার্টিফিকেট, এছাড়া যারা আক্রা’ন্ত ছিলেন কতদিন কোয়ারেন্টাইন ছিলেন তার সার্টিফিকেট নেয়া হবে। সন্দেহ হলে তাকে কোয়ারেন্টাইনেও পাঠানো হবে।
সর্বা’ত্মকভাবে এই দু’র্যোগের কবল থেকে বাঁচতে কী কী করণীয় রয়েছে, তা নিয়ে মন্ত্রণালয়গুলোকে সাতদিনের মধ্যে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ দেয়া হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তরফ থেকে।