নানা কর্মকাণ্ডের কারণে বরাবরই আলোচনায় থাকেন উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন। বিশ্ব যখন করোনা নিয়ে ব্যস্ত, তখনো আলোচনার বাইরে ছিলেন না তিনি। তাদের দেশে কখন কী ঘটছে, বাইরে থেকে বুঝে উঠা কঠিন। এমনকি কিম বেঁচে আছেন কি মারা গেছেন সেই খবরটাও বিশ্বকে শুনতে হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে।
উত্তর কোরিয়ার কঠোর স্বৈরশাসক কিম জং উনকে এবার দেখা গেলো সম্পূর্ণ ভিন্ন মেজাজে।
ওয়ার্কার্স পার্টি অব কোরিয়ার ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে করোনা মহামারি পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হওয়ায় জনসাধারণের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। এমনকি তাকে চোখ মুছতেও দেখা যায়। এই প্রথম কোনো ইস্যুতে তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে দেখা গেল।
প্রথমবারের মত আমিরাত থেকে ইস্রায়েলে পণ্যবাহী জাহাজের যাত্রা
সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর তথ্যমতে, অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন কিম। তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার মানুষের প্রত্যাশা মতো তিনি কাজ করতে পারেননি। এজন্য তিনি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছেন। এই কথা বলার সময় নিজের চশমা খুলে চোখও মোছেন।
পূর্বপুরুষ ও ঐতিহ্যের কথা উল্লেখ করে কিম জং উন বলেন, কিম ২ সাং ও কিম জগ ইলের উদ্দেশ্য পূরণ করার জন্য দেশের মানুষ আমাকে এই দায়িত্ব অর্পণ করেছে। তবে আমি অত্যন্ত চেষ্টা করেও নাগরিকদের জীবনের সব অসুবিধা কমাতে পারিনি। এর জন্য আমার আফসোস রয়েছে।
কিম নিজের আবেগময় বক্তৃতায় করোনার জেরে সারা বিশ্বজুড়ে চ্যালেঞ্জিং সময়ের কথা উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ইচ্ছাও প্রকাশ করেন তিনি। যদিও যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে তেমন কিছু বলেননি।
সমালোচকরা বলছেন, কিম জং উনের এভাবে বদলে যাওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে করোনাভাইরাস ও পারমাণবিক অস্ত্রের ওপর বিধিনিষেধ। করোনা ও পারমাণবিক অস্ত্রের ওপর বিধিনিষেধের কারণে তার নেতৃত্বের ওপর প্রচুর চাপ রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।