পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দর্শকশূন্য থাকবে পূজামণ্ডপ-কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পুনর্বিবেচনার আবেদনও খারিজ করে দিয়েছেন বিচারক। ফোরাম ফর দুর্গাপূজা উৎসবের পক্ষ থেকে রায় বিবেচনার আবেদন করা হয়েছিল। বুধবার (২১ অক্টোবর) বিচারপতি সঞ্জিব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অরিজৎ বন্দ্যোপাধ্যায় আগের রায়ের পক্ষেই মত দেন। এমন কি সিঁদুর খেলার কোনও অনুমোদন দেওয়া হলো না এদিন। এর ফলে কলকাতাসহ গোটা পশ্চিমবঙ্গে পূজার মণ্ডপ থাকবে দর্শনার্থী ছাড়া।
কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সঞ্জীব বন্দোপাধ্যায় স্পষ্ট দিয়েছিলেন যে, এ বছর দুর্গাপূজায় কোনো মণ্ডপে সাধারণ দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবেন না। আজও সেই আদেশ বহাল রাখলেন তারা।
ভারতের প্রত্যেক নাগরিক পাবে করোনার ভ্যাকসিন, আশ্বাস মোদির
তবে এদিন নতুন আদেশে কিছুটা শিথিলতাও দেন নতুন করে। বলা হয়, বড় মণ্ডপে ৬০ জন উদ্যোক্তা পুজোর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি প্রবেশ করতে পারবেন। তবে একসঙ্গে ৪৫ জনের বেশি উদ্যোক্তা ঢুকতে পারবে না।
আর ছোট মণ্ডপে ১৫ জনের বেশি ঢুকতে পারবে না। ১০ জনের বেশি কোনও মণ্ডপে পুজোর সঙ্গে যুক্ত কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। আর প্রতিদিনের আয়োজকদের তালিকাও বদলানো যাবে। ঢাকিরা পুজোমণ্ডপে থাকতে পারবেন।
তবে পুজোমণ্ডপে দশমীর দিন সিঁদুর খেলার অনুমতি দেননি ডিভিশন বেঞ্চের বিচারকদ্বয়।
দুদিন আগে কলকাতা হাইকোর্ট করোনা সংকটের কারণে পশ্চিমবেঙ্গর পুজোমণ্ডপগুলোতে ভিড় নিয়ন্ত্রণে পূজামণ্ডপগুলো দর্শনার্থী নিষিদ্ধ করে। বড় মণ্ডপের ১০ মিটার এবং ছোট মণ্ডপের ৫ মিটার দূরে দাঁড়াতে হবে প্রতিমা দেখতে যাওয়া দর্শনার্থীদের।
এই রায় পুনর্বিবেচনার আরজি নিয়েই আদালতের দারস্থ হয়েছিলেন কলকাতা পুজো আয়োজকদের সংগঠন ফোরাম ফর দুর্গা উৎসব কমিটি।