কলমাকান্দায় ছাত্রীকে ধর্ষণ, প্রবাসীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
আব্দুর রহমান ঈশান/নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দায় প্রবাসী যুবকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ রোববার (১১জুন) কলমাকান্দা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী। এর আগে ওই প্রবাসী যুবকের বাড়ি থেকে কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
অভিযুক্ত মাহবুব আলম উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নের আড়ালিয়া গৌরীপুর গ্রামের মৃত আঃ হেলিমের ছেলে। তিনি ১৪ বছর ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে চাকরি করেন।
অভিযোগে সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে মাহবুব আলম (৩২) ছয় মাসের ছুটিতে দেশে আসেন। তখন এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলাম আমি। বাড়ি থেকে কলেজে আসা–যাওয়ার পথে দেখা হতো, নিয়মিত কথা হতো। একপর্যায়ে মাহবুবের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে একাধিকবার দৈহিক মেলামেশা করে। পরে ছুটি শেষে সংযুক্ত আরব আমিরাত চলে যায় মাহবুব।
এরপর মোবাইল ফোনে দুজনের নিয়মিত কথা চলতো। চলতি বছরের ৫ জুন আবার দেশে আসেন মাহবুব। গত শনিবার (১০ জুন) সকালে মাহবুব বিয়ের কথা বলে মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে ডেকে আনে। সারা দিন মাহবুব বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে কেনাকাটা করে। ওই দিনও নির্জন জায়গায় নিয়ে ধর্ষণ করে মাহবুব।
সন্ধ্যার দিকে মাহবুব বাড়িতে চলে যেতে বলে। কিন্তু কিছু দূর গিয়ে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে আমার সন্দেহ হয়। পরে আমি বাড়িতে না গিয়ে মাহবুবের বাসায় যাই। সেখানে গিয়ে দেখি মাহবুব বাসায় নেই। এ সময় তার মা ও বড় ভাইয়ের স্ত্রী হেনা আক্তার আমাকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। তাতে রাজি না হলে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তারা আমাকে ঘরের একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখেন।
পরের দিন সকালে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে হেনা আক্তার আমাকে মারধর করেন। পরে হেনা আক্তার মাহবুবের মাকে নিয়ে মূল গেটে তালা লাগিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে আমাকে উদ্ধার করে।
কলমাকান্দা থানার উপপরিদর্শক সায়েদুল ইসলাম বলেন, ‘বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগে ওই কলেজছাত্রী বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
থানায় অভিযোগের পর অভিযুক্ত মাহবুব আলম ও পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ায় এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।