কারাগারে বসেই ইনকাম করেছেন ৮০ লাখ টাকা। দুদক বলছে, বিভিন্ন কারাগারে দায়িত্বপালন কালে ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে এ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন বরখাস্তকৃত ডিআইজি প্রিজনস পার্থ গোপাল বণিক। বুধবার (০৪ নভেম্বর) এ মামলায় তার বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। টাকাসহ ধরা পড়ার পরও মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন পার্থ। যদিও আদালত বিষয়টি আমলে নেননি।
পার্থ গোপাল বনিক। কারাগারে বসে কামিয়েছে অঢেল অর্থ। দুদকের জালে আটকা পড়ার পর তার বাসায় অভিযান চালিয়ে মিলে নগদ ৮০ লাখ টাকা। তড়িঘড়ি করে টাকাভর্তি ব্যাগ পাশের বাসার ছাদে ফেলে দিলেও তা উদ্ধার করে দুদকের টিম। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিভিন্ন কারাগারে দায়িত্বপালন কালে ঘুষ-অনিয়মের মাধ্যমে উপার্জন করেছেন এসব টাকা।
রোহিঙ্গারা যাতে ভোটার না হতে পারে সেজন্য ইসির কঠোর নির্দেশনা
বুধবার এই মামলায় বনিকের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, বিদেশে পাচারের জন্যই টাকা ব্যাংকে না রেখে বাসায় রাখেন বরখাস্তকৃত ডিআইজি প্রিজন্স।
দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়েছে। জ্ঞাত আইনবহির্ভূত সম্পদের অভিযোগ, পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার অভিযোগ এবং মানি লন্ডারিং ও ঘুষের অভিযোগ।’
এদিন মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে পার্থ গোপালের আইনজীবীর আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
আসামিপক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী বলেন, আমরা বিজ্ঞ আদালতে বলেছি, এই চার্জটা হচ্ছে গ্রাউন্ডলেস এবং আসামি অব্যাহতি পাওয়ার যোগ্য। বিজ্ঞ আদালত উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনেছেন এবং শোনার পরে বিজ্ঞ আদালত আমাদের আবেদন নামঞ্জুর করেন।
আগামী ১৮ নভেম্বর এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।