নিজস্ব প্রতিবেদক,
রাজবাড়ী জেলার পাংশা,কালুখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় একে পর এক খুন হয়েই চলছে বাদ যাচ্ছে না দেশের সূর্য সন্তানেরাও যারা ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে এনেছিল। স্বাধীনতার অনেক বছর পরেও পাংশা, কালুখালীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের দিনে দুপুরে হত্যা করা হয় একের পর এক। এটা দেখার কেউ নাই।
আজ যারা হত্যাকারি তারাই প্রকাশ্য ঘুরে বেড়ায় তাদের বিচার হয় না জাতি আজ লজ্জিত। সেই উপলক্ষে আজ পাংশা, কালুখালির ৮টি হত্যা মামলার বিচার ও সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সামনে আজকের এই মানববন্ধন। হত্যা করা হয়েছে, রাজবাড়ী জেলা কৃষক লীগের সাবেক সফল সভাপতি পাংশা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নাদের হোসেন ও কালুখালির মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রবিউল ইসলাম ।
পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো.শওকত আলী মণ্ডল সহ ৮ টি হত্যাকাণ্ডে জড়িত, পাংশা, কালুখালির ৮টি হত্যা মামলার বিচার ও সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবি করা হয়।বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক পাংশা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মুন্সী নাদের হোসেনের সন্তান, সাবেক পাংশা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তফা মুন্সী হেনা বলেন আমার বাবা ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি আরো বলেন বর্তমান রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্যর আস্রিত লালিত পালিত ক্যাডার সন্ত্রাসী বাহিনী আমার বাবাকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যা করেন পাঁচ বছরেও আমার বাবার হত্যাকারিদের বিচার হয়নি। তারা প্রকাশ্য ঘুরে বেড়ায় দুঃখ লাগে আমার।
নেত্রী যেন আমাদের কান্না দেখতে পারেন এবং নেত্রীর কাছে বিচার প্রার্থনা করছি। বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ী জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু বককার খান তিনি বলেন রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য জনাব জিল্লুল হাকিম রাজবাড়ী-২ রাজবাড়ী কে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বি এন পি জামাত থেকে আসা সন্ত্রাসীরা আজ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ও ত্যাগী আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের হত্যা করছে। আওয়ামীলীগের ধ্বংস করছে। তিনি তাদের আশ্রায় দিয়েছেন এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন কসবামাজাইল ইউনিয়ন ছাত্রনেতা মারুফ খান।তিনি পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান যে,স্কুল শিক্ষক আসাদুল বারী হত্যা মামলার সকল আসামীকে গ্রেফতার করেছে।
কালুখালী মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান রবিউল ইসলাম হত্যাকারিরা অনেকেই গ্রেফতার হওয়ায় পুলিশ প্রশাসনসহ রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মহোদয়কে ধন্যবাদ জানান। এছাড়াও খুন হও ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য রাখেন তাদের একটাই দাবি, পাংশা,কালুখালির ৮টি হত্যা মামলার বিচার ও সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক আসামীদের গ্রেফতারের দাবি করছি।