মোদি সরকার সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে কেড়ে নিয়েছে কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন ও রাজ্য হিসেবে বিশেষ মর্যাদা। এরপর রাজ্যটিকে কেন্দ্রীয় শাসনের আওতাভুক্ত ঘোষণা করা হয়। কাশ্মীরে ব্যাপক সেনা সমাবেশ, ধরপাকড় ও ইন্টারনেট পরিষেবাসহ নানা রকম সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করে দিয়ে রাজ্যটিকে অবরুদ্ধ জনপদে পরিণত করা হয়।
এতদিন ধরে গৃহবন্দিত্বে থাকা কাশীরি নেতারা মুক্তি পেয়ে স্বায়ত্ত শাসন ও বিশেষ মর্যাদা ফেরত পাওয়ার শান্তিপূর্ণ সংগ্রাম চালানোর লক্ষ্যে একই প্লাটফর্মে সমবেত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির মুক্তির পরই এই পদক্ষেপ নিচ্ছেন তারা। খবর আল জাজিরার।
রাজ্যটির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘আমাদের সংগ্রাম হবে শান্তিপূর্ণ এবং সংবিধানকে সমুন্নত রেখে অধিকার ফিরে পাওয়ার সংগ্রাম। আমরা চাই ২০১৯ সালে ৫ আগস্টের আগে কাশ্মীরিরা যে সাংবিধানিক অধিকার ভোগ করত, সরকার তা কাশ্মীরি জনগণকে ফিরিয়ে দিক।’
সরকার মেয়েদের বিয়ের সঠিক বয়স ঠিক করে দেবে: নরেন্দ্র মোদি
কাশ্মীরের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে শ্রীনগরে নিজের বাসায় বৈঠকের পর ফারুক আবদুল্লাহ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। বিশেষ মর্যাদা ফিরে পাওয়ার প্রশ্নে একই মঞ্চে আসা দলগুলো হচ্ছে দ্য ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিপল’স ডেমোক্রেটিক পার্টি, দ্য পিপল’স কনফারেন্স ও কমুনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া।
গত বছর আটকের পর বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকে পর্যায়ক্রমে মুক্তি দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। ১৪ মাস অন্তরীণ থাকার পর মঙ্গলবার সর্বশেষ মুক্তি পান সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। তিনি এবং অন্যান্য প্রধান কাশ্মীরি নেতা সরকারের প্রতি রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানান।
গত বছর বিশেষ মর্যাদা বাতিলের কৈফিয়ত হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, হিমালয়ের কাছাকাছি রাজ্যটিকে আরো কাছে নিয়ে আসার ওই পদক্ষেপ নিয়েছে তার সরকার। এরপর রাজ্যটিতে বিপুল সেনা সমাবেশ ঘটিয়ে ব্যাপক দমনপীড়ন চালানো হয়।