ঢাকা ০৬:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo পাহাড়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বাড়াতে টার্গেট সেনাবাহিনী Logo খাগড়াছড়িতে সেনা ক্যাম্প স্থাপনে বাধা প্রদানের প্রতিবাদে ঢাবিতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল Logo একটি স্নাইপার বুলেটই যথেষ্ট: বাঙালি নেতাকে কেএনএফ-এর হুমকি! Logo খাগড়াছড়িতে নাশকতার পরিকল্পনা করছে ইউপিডিএফ Logo সামনে ঘোর অন্ধকার-আমরা ঘুমাচ্ছি Logo খাগড়াছড়িতে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে যুবদলের প্রতিষ্ঠা বাষিকী পালিত Logo কিশোরগঞ্জে ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল Logo হোসেনপুরে পুলিশের হাত থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিল বিএনপি নেতারা Logo কিশোরগঞ্জ শহরে অটোরিকশার যানজট ও ফুটপাত দখল ভাঙতে মাঠে নামলেন ডিসি ফৌজিয়া খান Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে মহাসচিব মির্জা ফখরুলের শোক

কিশোরগঞ্জে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

Doinik Astha
Doinik Astha
  • আপডেট সময় : ০৪:৪২:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪
  • / ১০৩০ বার পড়া হয়েছে

বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের আলোচনা সভায় বলা হয়েছে, তরুণ বা শিক্ষার্থীরা গোপনে সিগারেটে অভ্যস্ত হচ্ছে আর এই ধূমপানই হচ্ছে মাদকাসক্ত হওয়ার প্রথম সোপান।ফলে দেশকে মাদকমুক্ত করতে হলে প্রথম শর্ত হচ্ছে ধূমপান বন্ধ করা।

মাদকাসক্তদের ৮০ ভাগই ধূমপান দিয়ে মাদকাসক্ত হচ্ছে বাকি ২০ ভাগ আসক্ত হচ্ছে সঙ্গদোষ বা অন্যান্য কারণে। বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসন (৩১ মে) শুক্রবার সকালে র‌্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।কালেক্টরেট প্রাঙ্গন থেকে র‌্যালি করার পর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা করা হয়।অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মহুয়া মমতাজের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল ইসলাম। আলোচনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এটিএম ফরহাদ চৌধুরী,সমাজেসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান খান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম,সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজমুল করিম,জেলা বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট এমএ রাশিদ ভূঁইয়া,সাংবাদিক মোস্তফা কামাল, সাইফুল হক মোল্লা দুলু প্রমুখ। সভায় বলা হয়, ধূমপানসহ সরাসরি তামাক ও জর্দা সেবনের মাধ্যমেও নানারকম স্বাস্থ্যগত ক্ষতির পাশাপাশি ব্যাপক মানুষের প্রাণহানি ঘটছে।ক্যান্সার,যক্ষা ও শ্বাসকষ্টসহ নানা রকম জটিল রোগে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে।ধূমপানে ক্ষতি ছাড়া একটিও উপকারী গুণ নেই,এতে অর্থনৈতিক এবং প্রাকৃতিক ক্ষতিও কম নয়।বিশ্বে তামাক উৎপাদনে বছরে দুই হাজার ২০০ কোটি টন পানি ব্যবহৃত হচ্ছে। এক কেজি তামাক উৎপাদনে ব্যবহৃত হচ্ছে ৬৭৮ লিটার পানি।অথচ এক কেজি ধান উৎপাদন করতে খরচ হয় ২২ লিটার পানি। ফলে ক্ষতিকর এই পণ্যটি উৎপাদনে এভাবে পানির অপচয় করে সুপেয় পানির ঘাটতি তৈরি করা হচ্ছে এবং অন্যান্য ফসল চাষাবাদে পানির ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। আলোচনা সভায় আরো বলা হয়,বিশ্বে প্রতি বছর বাংলাদেশের সম আয়তনের জমিতে তামাক উৎপাদন হচ্ছে। তামাকজাত পণ্য উৎপাদন ও ব্যবহারের কারণে বছরে ৮৪ হাজার মেগাটন কার্বনডাইঅক্সাইড উৎপাদন করে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জলবায়ুর ব্যাপক ক্ষতি করা হচ্ছে।বছরে তামাকজাত দ্রব্যের কারণে চিকিৎসা বাবদ সরকারের খরচ হয় ৩০ হাজার কোটি টাকা। অথচ এই খাত থেকে সরকার রাজস্ব পাচ্ছে ২২ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া জনগণের নিজস্ব চিকিৎসা ব্যয়তো তো আছেই। বক্তাগণ বলেন,বিশ্বে বছরে ৬০ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ধূমপানের কারণে মারা যায়।দেশে অনেক বড় বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটে সিগারেটের আগুন থেকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২০৪০ ইং সালের মধ্যে বাংলাদেশ ধূমপনামুক্ত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন।ভুটান প্রথম দেশ হিসেবে আইন করে দেশকে ধূমপানমুক্ত ঘোষণা করেছে। তবে ধূমপানকে নিরোৎসাহিত করার জন্য বাংলাদেশে কিছু আইন এবং সচেতনতামূলক কার্যক্রম রয়েছে। এগুলির আরও ভালভাবে সদ্ব্যব্যবহার করতে পারলে ক্রমান্বয়ে ধূমপানের প্রবণতা কমে আসবে বলেও বক্তাগণ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

ট্যাগস :

কিশোরগঞ্জে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় : ০৪:৪২:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪

বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের আলোচনা সভায় বলা হয়েছে, তরুণ বা শিক্ষার্থীরা গোপনে সিগারেটে অভ্যস্ত হচ্ছে আর এই ধূমপানই হচ্ছে মাদকাসক্ত হওয়ার প্রথম সোপান।ফলে দেশকে মাদকমুক্ত করতে হলে প্রথম শর্ত হচ্ছে ধূমপান বন্ধ করা।

মাদকাসক্তদের ৮০ ভাগই ধূমপান দিয়ে মাদকাসক্ত হচ্ছে বাকি ২০ ভাগ আসক্ত হচ্ছে সঙ্গদোষ বা অন্যান্য কারণে। বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসন (৩১ মে) শুক্রবার সকালে র‌্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।কালেক্টরেট প্রাঙ্গন থেকে র‌্যালি করার পর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা করা হয়।অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মহুয়া মমতাজের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল ইসলাম। আলোচনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এটিএম ফরহাদ চৌধুরী,সমাজেসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান খান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম,সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজমুল করিম,জেলা বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট এমএ রাশিদ ভূঁইয়া,সাংবাদিক মোস্তফা কামাল, সাইফুল হক মোল্লা দুলু প্রমুখ। সভায় বলা হয়, ধূমপানসহ সরাসরি তামাক ও জর্দা সেবনের মাধ্যমেও নানারকম স্বাস্থ্যগত ক্ষতির পাশাপাশি ব্যাপক মানুষের প্রাণহানি ঘটছে।ক্যান্সার,যক্ষা ও শ্বাসকষ্টসহ নানা রকম জটিল রোগে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে।ধূমপানে ক্ষতি ছাড়া একটিও উপকারী গুণ নেই,এতে অর্থনৈতিক এবং প্রাকৃতিক ক্ষতিও কম নয়।বিশ্বে তামাক উৎপাদনে বছরে দুই হাজার ২০০ কোটি টন পানি ব্যবহৃত হচ্ছে। এক কেজি তামাক উৎপাদনে ব্যবহৃত হচ্ছে ৬৭৮ লিটার পানি।অথচ এক কেজি ধান উৎপাদন করতে খরচ হয় ২২ লিটার পানি। ফলে ক্ষতিকর এই পণ্যটি উৎপাদনে এভাবে পানির অপচয় করে সুপেয় পানির ঘাটতি তৈরি করা হচ্ছে এবং অন্যান্য ফসল চাষাবাদে পানির ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। আলোচনা সভায় আরো বলা হয়,বিশ্বে প্রতি বছর বাংলাদেশের সম আয়তনের জমিতে তামাক উৎপাদন হচ্ছে। তামাকজাত পণ্য উৎপাদন ও ব্যবহারের কারণে বছরে ৮৪ হাজার মেগাটন কার্বনডাইঅক্সাইড উৎপাদন করে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জলবায়ুর ব্যাপক ক্ষতি করা হচ্ছে।বছরে তামাকজাত দ্রব্যের কারণে চিকিৎসা বাবদ সরকারের খরচ হয় ৩০ হাজার কোটি টাকা। অথচ এই খাত থেকে সরকার রাজস্ব পাচ্ছে ২২ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া জনগণের নিজস্ব চিকিৎসা ব্যয়তো তো আছেই। বক্তাগণ বলেন,বিশ্বে বছরে ৬০ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ধূমপানের কারণে মারা যায়।দেশে অনেক বড় বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটে সিগারেটের আগুন থেকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২০৪০ ইং সালের মধ্যে বাংলাদেশ ধূমপনামুক্ত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন।ভুটান প্রথম দেশ হিসেবে আইন করে দেশকে ধূমপানমুক্ত ঘোষণা করেছে। তবে ধূমপানকে নিরোৎসাহিত করার জন্য বাংলাদেশে কিছু আইন এবং সচেতনতামূলক কার্যক্রম রয়েছে। এগুলির আরও ভালভাবে সদ্ব্যব্যবহার করতে পারলে ক্রমান্বয়ে ধূমপানের প্রবণতা কমে আসবে বলেও বক্তাগণ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।