কেন্টাকির শহরে নতুন মেয়র এক কুকুর! যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা যেন কাটছেই না। কী হতে যাচ্ছে, কে হচ্ছেন পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট তা নিয়ে জল্পনা থামছে না। কখনও মনে হচ্ছে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন জিতবেন। আবার কখনও মনে হচ্ছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও জয়ী হতে পারেন।
নির্বাচনের ভোট গণনা এখনও শেষ হয়নি। সে কারণেই এখনই বলা যাচ্ছে না যে ফলাফল কোন দিকে যাচ্ছে। এমন সংকটময় মুহূর্তেও যুক্তরাষ্ট্রে ঘটে চলেছে নানা ধরনের মজার ঘটনা।
উইলবার হচ্ছে ছয় বছর বয়সী একটি ফ্রেঞ্চ বুলডগ। আগামী চারটি বছর তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই কুকুরটিকে কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যের র্যাবিট হ্যাশ শহরের মেয়র পদে নির্বাচিত করা হয়েছে।
উইলবারের মুখপাত্র অর্থাৎ তার মালিক এমি নোল্যান্ড বলছেন, ৫শর কম অধিবাসী এই ছোট্ট শহরটিতে কখনই কোন মানুষকে মেয়র পদে বসানো হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রে ৫ অঙ্গরাজ্যে ভোটের সবশেষ অবস্থা
একজন স্থানীয় বাসিন্দা ১৯৯০-এর দশকে প্রস্তাব করেন যে, সেখানে ইতিহাস চর্চা করে যে সমিতি তার অর্থ সংগ্রহের জন্য মানুষ নয় কোন প্রাণীকে মেয়র নির্বাচিত করা হোক।
আর তখন থেকেই এই রীতি চলে আসছে বলে টেলিভিশন চ্যানেল এনবিসিকে জানিয়েছেন এমি নোল্যান্ড। র্যাবিট হ্যাশে প্রথম যে কুকুর মেয়র নির্বাচিত হয় তার নাম ছিল গুফি।
এরপর মোট পাঁচবার ওই শহরে বিভিন্ন কুকুর মেয়র হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছে। এমি নোল্যান্ড জানান, উইলবার তার নতুন দায়িত্বকে বেশ গুরুত্বের সাথেই নিয়েছে। তবে নতুন মেয়রকে তার পেটে এবং কানে নিয়মিত আদর করতে হয়।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল ঘিরে সারাবিশ্বই আগ্রহ নিয়ে বসে আছে। এখন পর্যন্ত জো বাইডেনের দখলে রয়েছে ২৬৪টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। সেখানে ট্রাম্পের ঝুলিতে ২১৪টি। প্রেসিডেন্ট হতে দরকার ২৭০ ভোট। সেদিক বিবেচনায় ট্রাম্পের চেয়ে বাইডেন অনেকটাই এগিয়ে গেছেন।
গণনার প্রথমদিকে বেশকিছু অঙ্গরাজ্যে এগিয়েছিলেন রিপাবলিকানরা। কিন্তু পোস্টাল ব্যালট গণনা শুরু হতেই ছবিটা একটু-একটু করে বদলাতে শুরু করে। এগিয়ে যান বাইডেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নেভাদা, অ্যারিজোনা, পেনসিলভেনিয়া ও জর্জিয়ায় পোস্টাল ব্যালট গণনা চলছে। গণনা শেষ না হলে চূড়ান্ত ফল মিলবে না। তবে লড়াইমঞ্চ এত তাড়াতাড়ি ছেড়ে দেবেন না বলে ফের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প।
ভোট চুরির অভিযোগ এনে পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলছেন, বড় বড় মিডিয়ার সমর্থন, বিশাল অর্থের লেনদেন এবং বড় বড় প্রযুক্তি জো বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট বানানো জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। ফলে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।