বরগুনার বহুল আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ও নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে বরগুনা জেলা কারাগার থেকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে শুক্রবার কারাগারে কয়েদির পোশাক পড়া মিন্নির একটি ছবি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে ভিন্ন রূপে দেখা যায় মিন্নিকে।
আরো পড়ুন>> হাইকোর্টে মিন্নির ২১ যুক্তি
ছবিতে দেখা যায়, একটি কক্ষে কয়েদির সাদা শাড়ি পড়ে বেঞ্চের উপর বসে আছেন মিন্নি। তার চেহারায় ক্লান্তির ছাপ লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে কয়েদির পোশাক পড়া মিন্নির ছবিটি নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।
এর আগে, ২০১৯ সালের ২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে জখম করে নয়ন বন্ডের কিশোর গ্যাং গ্রুপ বন্ড-০০৭-এর সদস্যরা। ওই সময় স্ত্রী মিন্নি ঘটনাস্থলেই ছিলেন। একইদিন বিকেলে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান রিফাত শরীফ।
আরো পড়ুন>> রিফাত হত্যা: হাইকোর্টে মিন্নির খালাস আবেদনে ২১ যুক্তি
পরবর্তীতে ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় রিফাতের স্ত্রী মিন্নিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। একইসঙ্গে রিফাত হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি নয়ন বন্ড বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালত। ৮ জানুয়ারি একই মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বরগুনার শিশু আদালত।
এরপর গত ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুরে রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মিন্নিসহ ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে খালাস দেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান। রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
আরো পড়ুন>> রিফাত হত্যার পরিকল্পনায় নয়নকে যা বলেছিল মিন্নি
এছাড়া ২৭ অক্টোবর দুপুরে আলোচিত এ মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির মধ্যে ৬ জনকে ১০ বছর, ৪ জনকে ৫ বছর ও একজনকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে বরগুনার শিশু আদালত। এছাড়া তিন আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।