দেশের কনিষ্ঠতম তারাবির ইমাম খাগড়াছড়ির মাহি
- আপডেট সময় : ০৯:৩৮:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
- / ১০৪৯ বার পড়া হয়েছে
খাগড়াছড়িতে দেশের কনিষ্ঠতম তারাবির খাগড়াছড়ির ইমাম মাহি
স্টাফ রিপোর্টারঃ
খাগড়াছড়িতে দেশের কনিষ্ঠতম তারাবিহ নামাজের ইমাম হাফেজ মোঃ হামজা আল মাহি। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তারাবিহ নামাজে ইমামতি করছে এই কিশোর।
তার পরিবার জানায়, সে এবছর রমজানে খাগড়াছড়ি পৌরসভার জামে মসজিদে তারাবিহ পড়াচ্ছে।
গত বছর জানুয়ারী থেকে খাগড়াছড়ি শহরের মিলনপুরে তানজিহুল উম্মাহ ইন্টারন্যাশনাল হেফজ মাদ্রাসা থেকে কোরআনে হেফজ (দাউর) শেষ করেছেন। প্রথমবারের মতো ইমামতির সুযোগ পেয়েছেন। তার বয়স ১৪ বছর ১ দিন।
এর আগে হাফেজ মোঃ হামজা আল মাহি জেলার পানছড়ি উপজেলার মোল্লাপাড়া দারুল উলুম হেফজখানা ও এতিমখানায় নুরানী থেকে হেফজ পর্যন্ত প্রথম দফা শেষ করেন।
হাফেজ মোঃ হামজা আল মাহি এর পিতা একজন সিনিয়র সাংবাদিক ও মাতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। তারা (মাহি) দুই ভাই এর মধ্যে (মাহি) ছোট ও পানছড়ি উপজেলার মোল্লাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
মাহির পিতা সাংবাদিক মোফাজ্জল হোসেন ইলিয়াছ বলেন, সাধারণত ১৪ বছরের নিচে কোনো ইমাম নিয়োগ দেওয়া হয় না। যেহেতু ওর বয়স ১৪ পূর্ণ হয়েছে, তাই ওর চেয়ে কম বয়সী ইমাম আর থাকার কথা নয়। অপরদিকে ইমাম নিয়োগের বিষয়টা সাবালকের উপর নির্ভর করে। আবার সাবালক হওয়াটা তার পরিবার পরিজনের যত্নের উপর নির্ভর করে।
মসজিদের নিয়মিত মুসল্লী বিল্লাল হোসেন বলেন, মাহির বয়স কত, এটা নিয়ে আমরা ভাবি না। ও তার যোগ্যতা দিয়ে প্রমাণ করেছে, বয়স এখানে বাধা নয়। ও যখন ইমাম হিসেবে দাঁড়ায়, ওর পিছনে দাঁড়িয়ে আমরা নির্দ্বিধায় নামাজ পড়ি। তিলাওয়াত খুবই সুন্দর। কখনো মনে হয় না, ওর বয়স এত কম।
উল্লেখ্য, ২৯ মার্চ ২০২৩/আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:২১ পিএম ইনকিলাব প্রকাশিত সর্বনিম্ন কত বছর বয়সে একজন হাফেজ ইমামতি করতে পারেন এবং তার শর্তাবলি কি কি?
উত্তরঃ পাঞ্জেগানা, জুমুআ, ঈদ, তারাবিহ ইত্যাদি নামায-জামাত পড়ানোর ক্ষেত্রে শরীয়তের আলোকে সংশ্লিষ্ট ইমামকে অবশ্যই সাবালক হতে হবে। শরীয়ত শর্ত করেছে সাবালক হওয়ার, বয়সের নয়। তবে হ্যাঁ, সাবালকত্ব কত বছরে হতে পারে তার সম্ভব্য একটি ধারণা দেয়া হয়েছে যে, স্থান-কাল-পাত্র বিবেচনায় ও সুখী-সম্বৃদ্ধ পরিবারে জন্ম নেয়া নিরোগ একটি ছেলে সর্ব নিন্ম ১২/১৩/১৪ বছর বয়স কালেও সাবলক হয়ে যেতে পারে। আবার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে, হৃত-দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়া কোন ছেলে ১৫ বছর বয়সেও, প্রকৃত সাবালক নাও হতে পারে। কিন্তু তারপরও ধর্মীয় বিধি-বিধান পালন ও প্রয়োজ্যের স্বার্থে, তার নিজের, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রয়োজনে দায়িত্ব পালন ও জবাবদিহিতার ক্ষেত্রে আইনগত সুবিধার উদ্দেশ্যে সর্বোচ্চ (১৫) পনের বছর বয়স নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।