খাগড়াছড়িতে পরিপত্রের মারপ্যাচে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রমে বাঙালীরা
স্টাফ রিপোর্টারঃ
আদিবাসী বিষয়ে দুই ধরনের সংজ্ঞা আছে। একটি আইএলও কনফেকশন ১৬৯। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় পরিপত্র নং ১৭.০০.০০০০.০২৬. ৩২.০১২. ২৩.২০৮ তাং ২১ আগস্ট ২০২৪ ইংরেজি অনুসারে করতে গিয়ে খাগড়াছড়ির বাঙালি জনগোষ্ঠীর ভোটার নিবন্ধন এ হালনাগাদতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারছে না।
পার্বত্য জেলায় উপজাতীয় এবং বাঙালিদের (মুসলিম ও হিন্দু-বড়ুয়া) মধ্যে কিছুটা মানসিক দ্বন্দ্ব রয়েছে। দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ভোটার নিবন্ধন ও হালনাগাদ কার্যক্রম যারা করছেন, তাঁদের অধিকাংশই উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর কর্মচারীদের দায়িত্বে রয়েছেন।
পরিপত্রের অজুহাত দেখিয়ে বাঙালিদের ভোটার তালিকা করছে না। খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের সুত্রোক্ত স্মারকে বর্ণিত শর্তের দোহাই দিয়ে বাবা-মায়ের অস্থায়ী এবং স্থায়ী বাসিন্দার সনদ চাওয়া হচ্ছে।
পার্বত্য জেলায় স্থায়ী বাসিন্দার সনদ জেলা প্রশাসক বা সার্কেল চিফ হতে নেয়ার প্রকৃয়া খুবই দীর্ঘ এবং এতে একমাসের অধিক লেগে যায়। বাঙালি জনগোষ্ঠীকে উপজাতীয় হেডম্যান, সার্কেল চিফ জায়গা-সম্পত্তির মালিক না হলে স্থায়ী বাসিন্দার সনদ দিতে চান না। সে হিসেবে নির্বাচন কমিশনের পরিকল্পনা অনুযায়ী দ্রুত ভোটার নিবন্ধন বা হালনাগাদ কার্যক্রম করা দূরুহ হয়ে পড়ছে।
কমিশনের পরিপত্রের নির্দেশনার আলোকে বিশেষ ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম সহজীকরনের লক্ষ্যে ভোটার নিবন্ধনকে ৩টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। তম্মধ্যে, “বি” ক্যাটাগরির ৩ ও ৪ নং ক্রমিক অনুযায়ী বাবা-মায়ের অস্থায়ী ও স্থায়ী বাসিন্দার সনদ চাওয়ায় পার্বত্য অঞ্চলের ভোটার নিবন্ধনকে সহজীকরণের বদলে জটিল করা হয়েছে।
পার্বত্য অঞ্চলে স্থায়ী বাসিন্দা সনদ শুধুমাত্র তারাই পায় যাদের রেজিষ্ট্রিকৃত ভূমি আছে। আর স্থায়ী বাসিন্দা সনদ পাওয়ার প্রক্রিয়াটি সময় সাপেক্ষ ব্যপার। সেক্ষেত্রে পরিপত্রের উক্ত ৩ ও ৪ নং ক্রমিকের জন্য এখানে অসংখ্য ভোটার নিবন্ধন করা সম্ভব হচ্ছে না।