গণতন্ত্রের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সর্ম্পক নেই-দুদু
স্টাফ রিপোর্টারঃ
আজ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বন্দুকের জোরে, আবারও তারা বন্দুকের জোরে ক্ষমতায় থাকতে চায়।আওয়ামী লীগ সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সর্ম্পক নেই। গণতন্ত্রের সর্ম্পক নেই। শেখ হাসিনার গণতন্ত্রের সঙ্গে মিল আছে উগান্ডার, নাইজেরিয়ার, দক্ষিণ কোরিয়ার। এতদিনে সবাই জেনে গেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য যা যা করা দরকার, বিএনপি ও বিরোধী দল করবে। এটা আপনারা মাথায় রাখেন, তাহলে ভালো হবে। অসম্মানিত হওয়ার আগে পদত্যাগ করলে সেটা হবে আপনাদের জন্য সুন্দর ব্যবস্থা। আজ দেশে যে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে তা শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছাড়া কোনোভাবে সমাধান করা যাবে না।
আজ বুধবার (৯ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমমনা পেশাজীবী গণতন্ত্র জোট আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু এ মন্তব্য করেন।
দুদু বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগকে শতভাগ দলীয়করণ করেছে। আগে সরকারের লুটপাটের কথা বিরোধী দল বলত, এখন বিদেশিরাও বলছে। আমেরিকার দুর্নীতির বিষয়ক সম্পাদক এসেও বলছে কীভাবে দুর্নীতি বন্ধ করা যায়। এর চেয়ে লজ্জার আর কিছু নেই। সরকার ভয় পেয়েছে। দেশকে বিদেশিদের চারণভূমিতে পরিণত করছে সরকার। শুধু গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেননি, স্বাধীনতাকে বিপন্ন করেছেন।
সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোটের প্রধান সমন্বয়কারী মোঃ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও আসাদুল হক অহিদুলের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির তথ্য গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রমুখ।
আইনমন্ত্রীর সমালোচনা করে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘ডিজিটাল আইন বাতিল করে সাইবার আইন করার উদ্যোগ নিয়ে আইনমন্ত্রী আপনি কি করলেন তা নিয়ে জনগণের মাথাব্যথা নেই। দুই-একমাসও না, হয়ত এমনও হতে পারে ডিসেম্বরের মধ্যে আপনাদের পদত্যাগ করা লাগবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে ‘ফরমায়েশি রায়’ বাতিল এবং এক দফা দাবিতে এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।