গণ অধিকার পরিষদে আসলো ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক
স্টাফ রিপোর্টারঃ
গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া ও সদস্য সচিব নুরুল হক নুরের মধ্যে দ্বন্দ্বের মাঝেই রেজা কিবরিয়াকে আহ্বায়ক রেখেই রাশেদ খানকে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক করল গণ অধিকার পরিষদ।
জানা গেছে, রোববার (১৮ জুন) সন্ধ্যায় দলের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়ার গুলশানের বাসায় শীর্ষ নেতৃবৃন্দের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দলীয় শৃঙ্খলা আনয়নের ক্ষেত্রে সদস্যসচিবকে আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি এবং রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগের কারণ ব্যাখ্যা চেয়ে আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়ার মতামত দিলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হয়। তখন রেজা কিবরিয়া সভা স্থগিত করেন। বর্তমানে তিনি দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। দেশে ফিরে বাকি আলোচনার কথা ছিল।
পরদিন সোমবার বিকালে দলের সদস্যসচিব নুরুল হক নুরের সভাপতিত্বে গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সভায় দলের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়াকে স্বপদে রেখেই দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ খানকে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে গণ অধিকার পরিষদ যুগ্ম-আহ্বায়ক ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ আস্থাকে বলেন, গতকাল এক জরুরি সভায় দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ খানকে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক করা হয়েছে। রেজা কিবরিয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তিনি দেশে ফিরলে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে রোববার সভা শেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক বিজ্ঞপ্তিতে রেজা কিবরিয়া লেখেন, ‘সভা চলাকালীন প্রবাসী অধিকার পরিষদের কমিটি পুনর্গঠন, ইতিমধ্যে সংগৃহীত অর্থের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি এবং সুষ্ঠু হিসাব ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা করা, দেশের নিরাপত্তার প্রশ্নে হুমকি এমন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও ইসরাইলের বিতর্কিত মোসাদ সদস্য মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে গোপন বৈঠক, দলীয় নেতৃবৃন্দদের নিয়ে সামাজিক মাধ্যম ও গণমাধ্যমে অসত্য সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে সদস্যসচিব নুরুল হক নুর।
নুরুল হক নুর সোমবার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, ‘বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট পরিচয়ে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার পৃষ্ঠপোষকতায় জনৈক মাসুদ করিম/এনায়েত করিমের বিএনপি ভাঙা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উকিল আব্দুস সাত্তার মডেলে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিশ্চিতে কথিত সরকার বিরোধী প্রোগ্রামের নামে রেজা কিবরিয়ার ব্যাংকক, কাঠমান্ডুতে একাধিকবার মিটিংয়ে অংশ নেওয়া এবং দেশে এসে মনোনয়ন বিক্রি ও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা শওকত মাহমুদের প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ এবং সর্বশেষ ইনসাফের প্রোগ্রামে অংশ নেওয়ার বিষয়ে গতকাল রেজা কিবরিয়ার বাসায় জরুরি মিটিংয়ে জবাবদিহি চাইলে তিনি সদুত্তর না দিয়ে নেতৃবৃন্দের প্রশ্নে বিরক্ত হয়ে বাসার ছাদের মিটিং স্থান ত্যাগ করে বাসায় ঢুকে আর মিটিংয়ে আসেনি।
ইতিমধ্যে দলের শীর্ষ এই দুই নেতার দ্বন্দ্বে দলে ভাঙনের আশঙ্কা দেখা গেছে। দলের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, শিগগিরই দলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে চূড়ান্তভাবে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে।