গত ৮বছরে বেসামরিক মানুষের ওপর রক্তক্ষয়ী অপরাধযজ্ঞকারীদের বিচারের করতে হবে-পুতিন
আস্থা ডেস্কঃ
ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যকার চলমান সংঘাত ১২তম দিনে গড়িয়েছে। যা এখনো বন্ধ হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এমতাবস্থায় যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে উভয় দেশের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে তুরস্ক। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের এই পদক্ষেপে সাড়া দিলেও শর্ত দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সূত্র-পার্সটুডে।
পুতিনের শর্ত হলো-ইউক্রেনকে আগে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে এবং অসামরিকীরণের দাবি মেনে নিতে হবে। কিয়েভকে ‘নব্য-নাজিবাদমুক্ত’ হতে হবে এবং গেলো ৮ বছর ধরে দোনবাসে বেসামরিক মানুষের ওপর রক্তক্ষয়ী অপরাধযজ্ঞ চালানোর ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। এসব নিশ্চিত হওয়া ছাড়া সেনা অভিযান বন্ধ করা সম্ভব নয়।
এরদোয়ানকে পুতিন আরো বলেন, ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনায় নিখুঁত হামলা চালাতে এবং বেসামরিক মানুষের হতাহত এড়াতে হাই প্রিসিশন অস্ত্র ব্যবহার করছে রুশ সেনারা। এর বিপরীতে বেসামরিক লোকজনকে মানব ঢাল বানিয়েছে ইউক্রেনীয় সেনারা।
তুর্কি প্রেসিডেন্টকে সংঘাতময় এলাকা থেকে তাদের নাগরিকদের নিরাপদে সরে যেতে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তবে বসফরাস ও দার্দানেলিস প্রণালী আঙ্কারা বন্ধ করে দেওয়ায় কৃষ্ণ সাগরে যেতে পারিছে না রাশিয়ার জাহাজগুলো।
কয়েক মাস ধরে চলা তীব্র উত্তেজনার মধ্যেই গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ সেনারা। চলমান এই সংঘাতে নিজেদের করণীয় ঠিক করতে আগামীকাল সোমবার ও পরদিন মঙ্গলবার বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন বিশ্বনেতারা। সেটি সামনে রেখে ৬ দফা পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।