গাইবান্ধায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, স্বামী আটক
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে স্ত্রীকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে স্বামী মঞ্জু মিয়া( ৪০)। রবিবার (৭জানুয়ারি) উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের গোপাল চরণ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে । মঞ্জু মিয়া ওই গ্রামের নঈম উদ্দিনের ছেলে। নিহত রেশমা বেগম (২৮) বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মনিরাম কাজি ফলগাছা গ্রামের ফজলুল হকের মেয়ে।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৬ বছর আগে বিয়ে হয় মঞ্জু এবং রেশমার। তাদের এক মেয়ে ও দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। কিছুদিন ধরে স্ত্রী রেশমার সঙ্গে মঞ্জু’র পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে মঞ্জু কুড়াল দিয়ে স্ত্রীর মাথায় সজোরে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই রেশমা’র মৃত্যু হয়।
এসময় রেশমার আর্তচিৎকার শুনে স্বজনরা এগিয়ে আসার আগেই মঞ্জু হাতে কূড়াল নিয়ে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়। সেসময় কেউ তাকে আটকানোর সাহস পায়নি। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে ঘটনা স্থলে দ্রুত পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে পুলিশ আসামি মঞ্জু মিয়াকে নিকটস্থ একটি বাজার থেকে আটক করে। এ সময় তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী একটি চায়ের দোকানের পিছন থেকে হত্যা কাজে ব্যবহৃত কুড়ালটি উদ্ধার করা হয়।
দহবন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম কবির মুকুল জানান, পারিবারিক কলহের কারণে মঞ্জু মিয়া তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে। তার দাবি, মঞ্জু মিয়া একজন মানসিক রোগী। কিছুদিন আগে পরিষদ থেকে তাকে একটি সুবর্ণ কার্ড ( প্রতিবন্ধী কার্ড) দেয়া হয়েছে। তিনি মানসিক ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী নিয়মিত ঔষধ সেবন করে আসছিলেন বলেও তিনি জানান।
সুন্দরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহীল জামান বলেন, আসামি মঞ্জুকে বাজার থেকে আটক করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্ত্রী হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তবে তিনি মানসিক প্রতিবন্ধী কিনা তা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।