পূর্ণিমা হোসাইনঃ ভৈরবে সুরিয়া বেগম (২৬) নামে এক গৃহবধূর গলায় ওড়না প্যাঁচানো লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২৮ সেপ্টেম্বর সোমবার রাত ১০টার দিকে ভৈরব থানা পুলিশ গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ি, শহরের কমলপুর মধ্যপাড়া খন্দকার বাড়ির নিজের থাকার ঘর থেকে লাশ উদ্ধার করে।
তিনি ওই বাড়ির মৃত সোহাগ মিয়ার স্ত্রী এবং দুই সন্তানের মা। গত ৪ বছর আগে মর্মান্তিক এক সড়ক দূর্ঘটনায় তার স্বামী সোহাগসহ পরিবারের ৫জন নিহত হয়েছিলো। ওই দূর্ঘটনায় আহত হয়ে সুরিয়া বেগমেরও দেহের একপাশ অবশ হয়ে যায় এবং প্রায় বাকশূণ্য হয়ে পড়েন।
রিফাত হত্যার পর মিন্নিকে শেষ বার্তায় যা বলেছিল নয়ন বন্ড
সুরিয়া পাশের জেলা ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা গ্রামের মৃত দ্বীন ইসলাম মিয়ার মেয়ে। প্রায় ১৩ বছর আগে খন্দকার বাড়ির মৃত মালি মিয়ার ছেলে সোহাগের সাথে বিয়ে হয়। তাদের ১২ বছর বয়সী একটি পুত্র ও ৬ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
সোহাগ মারা যাওয়ার পর সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে স্বামীর বাড়ির লোকজনের সাথে সুরিয়ার দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো বলে জানায় তার পরিবারের লোকজন। এই দ্বন্দ্ব থেকেই তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে থাকতে পারেন বলে দাবি করেন সুরিয়ার আত্মীয় হাজী মোস্তফা কামাল।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, মৃত স্বামীর ভাই, ভাবী বোনেরা তাকে সম্পদের লোভে হত্যা করে লাশ জানালার গ্রীলের সাথে ওড়না দিয়ে ঝুলিয়ে রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু লাশটি না ঝুলে অর্ধঝুলন্ত হয়ে খাটে পড়ে থাকে। ঘটনার পর থেকে নিহতের ভাসুর, দুই দেবর, ৩ ননদ স্বপরিবারে পালিয়ে গেছেন।
ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহিন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে প্রাথমিক সূরৎহাল রিপোর্ট তৈরি করে। পরে আজ মঙ্গলবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। রিপোর্ট আসার পর নিহতের আত্মীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।