নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুরে নারীকে গণধর্ষণ ও বিবস্ত্র করে নির্যাতনের মামলার সোহাগ ও রাসেল নামে আরো দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে তিন দিনের রিমান্ড শেষে জেলা জজ আদালতে হাজির করার পর জবানবন্দি দেয় সোহাগ ও রাসেল। তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন পরে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম এস এম মোসলেহ উদ্দিন মিজান।
দলীয় পরিচয় অপরাধীদের শাস্তি থেকে রেহাই দিতে পারবে না: কাদের
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা জজ আদালতের পিপি গুলজার আহমেদ জুয়েল। তিনি জানান, মামলার এজাহারে নাম ছিল না সোহাগ-রাসেলের। তবে তদন্তে নাম উঠে আসায় তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
এর আগে, বৃহস্পতিবার আসামি আবদুর রহিম ও ইউপি মেম্বার মোজাম্মেল হোসেন সোহাগ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
নোয়াখালীর এসপি মো. আলমগীর হোসেন জানান, গণধর্ষণ ও বিবস্ত্র করে নির্যাতনের শিকার নারীর করা দুটি মামলা পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়েছে। শনিবার থেকে মামলা দুটির তদন্তভার নেবে পিবিআই।
রোববার রাতে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দুটি করেন ভুক্তভোগী। দুই মামলার এজাহারে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৭-৮ জনকে আসামি করা হয়ে। আসামিদের মধ্যে এ পর্যন্ত এজাহারভুক্ত ৬ জনসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
২ সেপ্টেম্বর রাতে ঘরে ঢুকে ওই নারীকে গণধর্ষণ করে দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার, বাদল, কালামসহ ৯ জন। এরপর তাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও ভিডিও ধারণ করে। একই রাতে ভুক্তভোগীকে দ্বিতীয়বার ধর্ষণ করে আসামি বাদল। তার হাত-পায়ে ধরেও নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি ওই নারী।