চট্টগ্রাম নগরীতে ক্রমেই বেড়ে চলেছে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য। শহরের এসব ছিন্নমূল কিশোরদের দ্বারা সংগঠিত হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ। অনেকের নামে বিভিন্ন থানায় রয়েছে একাধিক মামলাও। তবে ছিন্নমূল হওয়ায় জামিনে বেরিয়ে সহজে হাওয়া হয়ে যায় এসব অপরাধীরা।
ছিনতাই, অপহরণ থেকে শুরু করে তাদের হাতে বলি হচ্ছে অনেক নিষ্পাপ প্রাণও। সিএমপির তথ্যমতে, গত এক বছরে কিশোর অপরাধীদের হাতে খুন হয়েছে অন্তত ১০ জন। মামলা হয়েছে শতাধিক।
বেড়ানোর কথা বলে ধর্ষণ, প্রেমিক গ্রেফতার
নগরীর দশ থেকে বারোটি পয়েন্টে রয়েছে এসব গ্যাংয়ের আধিপত্য। সাম্প্রতিক সময়ে ফ্লাইওভারগুলোতে বিশেষ কায়দায় ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। পরে পুলিশের তৎপরতা বেড়ে গেলে তারা কদমতলী, বিআরটিসি, নিউমার্কেট, আমতলী, চকবাজার থেকে লালদীঘী এলাকায় অবস্থান নিয়েছে।
আরো পড়ুন: ট্রেন মিস করে গণধর্ষণের শিকার কিশোরী
অনেক ক্ষেত্রেই এসব কিশোররা প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় থেকে করছে এসব অপরাধ। রাজনৈতিক আশ্রয়ের কারণে স্থানীয়রাও ভীত-সন্ত্রস্ত থাকেন তাদের দৌরাত্ম্যে। ভয় পান তাদের অপরাধের বিরুদ্ধে বলতে।
জানা যায়, গত বছর নগরীর ১৬ থানায় ৫৩৫ জন কিশোর গ্যাং সদস্যের তালিকা এবং আশ্রয়দাতা ৪৭ জন কথিত গডফাদার বা বড় ভাইয়ের তালিকা করেছিল পুলিশ। তবে এ ব্যাপারে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়নি।
তবে এবার এলাকাভিত্তিক কিশোর গ্যাং ও নেপথ্যের বড় ভাইদের নতুন তালিকা তৈরির জন্য ১৪৫ বিট কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন সিএমপি কমিশনার।
সিএমপি পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, কিশোররা এখনো প্রাপ্তবয়স্ক হয়নি। তাদেরকে যারা ভুল পথে পরিচালিত করছে আমরা তাদের তথ্য সংগ্রহ করেছি।
সিএমপি কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক বলেন, কোর্টে পাঠানোর পর কোর্ট সংশোধনাগারে নিতে বলে। আমরাও সেখানে নিয়ে যাই। কিছুদিন পর তারা বের হয়ে আসলে আবার একই অপরাধমূলক কাজে ফিরে যায়।