ঢাকা ০১:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo ইকরা গার্মেন্টসের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo আবার মাইনাস তৎপরতায় ডিপ স্টেট: মাসুদ কামাল Logo বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিএনপি নিয়ে নতুন ষড়যন্ত্র Logo পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে খাগড়াছড়িতে সংবাদ সম্মেলন Logo পানছড়িতে অবৈধ কাঠ আটক করেছে বিজিবি Logo পানছড়িতে সেনাবাহিনীর মতবিনিময়, উপহার ও চিকিৎসা সেবা প্রদান Logo কিশোরগঞ্জে রওজা মনি হত্যার বিচার দাবিতে গ্রামবাসীর মানববন্ধন Logo ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে রেজাউল করিম খান চুন্নুর সমর্থকদের গণমিছিল Logo পানছড়িতে শিক্ষার্থীর হাতে ওয়াদুদ ভূঁইয়া ফাউন্ডেশনের অনুদান তুলে দিলো স্বেচ্ছা সেবক দল Logo পানছড়িতে অসহায়, গরীব ও দুস্থের মাঝে ৩ বিজিবির মানবিক সহায়তা বিতরণ

চীনকে ঠেকাতে নতুন রাষ্ট্রের সৃষ্টি

Astha DESK
  • আপডেট সময় : ০৮:৪০:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১০৫১ বার পড়া হয়েছে

চীনকে ঠেকাতে নতুন রাষ্ট্রের সৃষ্টি

 

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

চীনকে ঠেকাতে নতুন রাষ্ট্রের সৃষ্টি করলো যুক্তরাষ্ট্র। প্রশান্ত মহাসাগরে দ্য কুক আইল্যান্ডস ও নিউই দ্বীপকে “স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের‍‍” মর্যাদা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বলা হচ্ছে, চীনকে এই অঞ্চলে আরেকটু চাপে রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত।

সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই দু’টি দ্বীপরাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। বাইডেনের মতে, এই দুই দ্বীপরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের সূচনা হবে শিগগিরই।

এতে করে ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চল “মুক্ত ও অবাধ‍‍” হবে বলে বাইডেনের ধারণা। সঙ্গে, এই পদক্ষেপ এই অঞ্চলে অবৈধ মাছ ধরা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে যার ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে হাঁটবে এই অঞ্চল বলে জানান বাইডেন।

সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব অ্যান্টনি ব্লিংকেন ও নিউই এর প্রধান ডালটন টাগেলাগির যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে কূটনৈতিক সম্পর্কের শুরু হয়। দ্বীপের দুটির জনসংখ্যা ২০ হাজারের কাছাকাছি হলেও প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক এলাকায় তাদের দখল অনেকটাই।

স্বশাসিত দেশ হলেও নিউজিল্যান্ডের ওপর পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতির জন্য নির্ভরশীল ছিল তারা। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের ক্ষমতার লড়াইয়ে খুব অর্থবহ হয়ে উঠেছে প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণাঞ্চল। লক্ষণীয় মাত্রায় বাড়ছে চীনের অর্থনৈতিক, সামরিক ও রাজনৈতিক আগ্রহ।

যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণা বিশেষ একটি সময়ে এলো, যখন দোরগোড়ায় ১৮টি সদস্যদের নিয়ে প্যাসিফিক আইল্যান্ডস ফোরাম। এই ফোরাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় প্রভাব বিস্তারের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ। এই ফোরামে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় রাষ্ট্রসহ বিভিন্ন ছোট দ্বীপপুঞ্জ। কিন্তু এই ফোরামে নেই সলোমন দ্বীপের প্রধানমন্ত্রী মানাসেহ সোগাভারে, কারণ তার দেশ চীনের ঘনিষ্ঠ।

ফোরামের উদ্বোধনী পর্বে বাইডেন বলেন, ‘ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলকে নিরাপদ, মুক্ত, অবাধ ও উন্নয়নমুখী করতে অ্যামেরিকা বদ্ধপরিকর। এই লক্ষ্যে সবাই মিলে কাজ করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এই দুটি দ্বীপরাষ্ট্রের স্বীকৃতি অ্যামেরিকাকে তাদের কাজ আরও বিস্তৃত করতে সাহায্য করবে।

ট্যাগস :

চীনকে ঠেকাতে নতুন রাষ্ট্রের সৃষ্টি

আপডেট সময় : ০৮:৪০:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

চীনকে ঠেকাতে নতুন রাষ্ট্রের সৃষ্টি

 

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

চীনকে ঠেকাতে নতুন রাষ্ট্রের সৃষ্টি করলো যুক্তরাষ্ট্র। প্রশান্ত মহাসাগরে দ্য কুক আইল্যান্ডস ও নিউই দ্বীপকে “স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের‍‍” মর্যাদা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বলা হচ্ছে, চীনকে এই অঞ্চলে আরেকটু চাপে রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত।

সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই দু’টি দ্বীপরাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। বাইডেনের মতে, এই দুই দ্বীপরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের সূচনা হবে শিগগিরই।

এতে করে ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চল “মুক্ত ও অবাধ‍‍” হবে বলে বাইডেনের ধারণা। সঙ্গে, এই পদক্ষেপ এই অঞ্চলে অবৈধ মাছ ধরা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে যার ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে হাঁটবে এই অঞ্চল বলে জানান বাইডেন।

সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব অ্যান্টনি ব্লিংকেন ও নিউই এর প্রধান ডালটন টাগেলাগির যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে কূটনৈতিক সম্পর্কের শুরু হয়। দ্বীপের দুটির জনসংখ্যা ২০ হাজারের কাছাকাছি হলেও প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক এলাকায় তাদের দখল অনেকটাই।

স্বশাসিত দেশ হলেও নিউজিল্যান্ডের ওপর পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতির জন্য নির্ভরশীল ছিল তারা। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের ক্ষমতার লড়াইয়ে খুব অর্থবহ হয়ে উঠেছে প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণাঞ্চল। লক্ষণীয় মাত্রায় বাড়ছে চীনের অর্থনৈতিক, সামরিক ও রাজনৈতিক আগ্রহ।

যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণা বিশেষ একটি সময়ে এলো, যখন দোরগোড়ায় ১৮টি সদস্যদের নিয়ে প্যাসিফিক আইল্যান্ডস ফোরাম। এই ফোরাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় প্রভাব বিস্তারের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ। এই ফোরামে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় রাষ্ট্রসহ বিভিন্ন ছোট দ্বীপপুঞ্জ। কিন্তু এই ফোরামে নেই সলোমন দ্বীপের প্রধানমন্ত্রী মানাসেহ সোগাভারে, কারণ তার দেশ চীনের ঘনিষ্ঠ।

ফোরামের উদ্বোধনী পর্বে বাইডেন বলেন, ‘ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলকে নিরাপদ, মুক্ত, অবাধ ও উন্নয়নমুখী করতে অ্যামেরিকা বদ্ধপরিকর। এই লক্ষ্যে সবাই মিলে কাজ করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এই দুটি দ্বীপরাষ্ট্রের স্বীকৃতি অ্যামেরিকাকে তাদের কাজ আরও বিস্তৃত করতে সাহায্য করবে।