জেলা প্রতিনিধিঃ চুয়াডাঙ্গার গাড়াবাড়িয়ায় স্থানীয় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে নজরুল ইসলাম (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে এলাপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা।বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের গাড়াবাড়িয়া গ্রামের ছাগলাপাড়া জিল্লু মেম্বারের আমবাগানে এ ঘটনা ঘটে।
পরে স্থানীয় ব্যক্তিরা রক্তাক্ত জখম অবস্থায় নজরুলকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এদিকে, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে গাড়াবাড়ীয় গ্রামের ছাগলা পাড়ার জাকির আহমেদের ছেলে মনির আহমেদকে (১৭) আটক করেছে।
দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় এলাকার প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে গাড়াবাড়িয়া গ্রামের বাগানপাড়ার নজরুল ইসলামের সঙ্গে ছাগলাপাড়ার কয়েকজনের বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল বিকেলে নজরুল ইসলাম গাড়াবাড়িয়া গ্রামের সাপ্তাহিক হাটে বাজার করতে যায়।
বাজার শেষে বাড়ি ফেরার পথে কয়েকজন নজরুলকে ডেকে নিয়ে ছাগলপাড়ার জিল্লু মেম্বারের আমবাগানে ডেকে নিয়ে নজরুলকে দা দিয়ে এলাপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। নজরুলের চিকৎকারে স্থানীয় ব্যক্তিরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক জখম নজরুলকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতলের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি রাখেন।
অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় একই সঙ্গে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। গতকাল রাত আটটার দিকে পরিবারের সদস্যরা জখম নজরুলকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ত্যাগ করে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘সন্ধ্যা ছয়টার দিকে গুরুতর জখম অবস্থায় নজরুলকে জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের গুরুতর জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
তাঁকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে অবজারভেশনে রাখা হয়। জখম নজরুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।’
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বলেন, ‘স্থানীয় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে সদর থানাধীন গাড়াবাড়িয়া গ্রামে নজরুলকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় একজনকে আটক করা হয়েছে। নজরুলের পরিবারের সদস্যরা রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নজরুলকে রাহশাহী নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলমান রয়েছে। মামলা হলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’