ধান ও বিচালির দাম বেশী হওয়ায় বোরো আবাদ বাড়ছে
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গা জেলার মাঠে মাঠে চলছে বোরো রোপন ও জমি তৈরির প্রস্তুতি। এ মওসুমে এবার সমকালীন পদ্ধতিতে এ জেলার চাষিরা বোরো রোপন করছে। চলতি মওসুমে জেলায় বোরো চাষ লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৩১৭২৫হেঃ জমিতে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো চাষ মওসুমে জেলায় ৩১৭২৫হেঃ জমিতে আবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। এ বছর জেলায় সর্বচ্চ বীজ তলা তৈরী হয়েছে ১৯৭৪হেঃ জমিতে। এর মধ্যে ২৮০ হেঃ জমিতে হাইব্রিড জাতের বীজ তলা তৈরী হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান বেশি হয়ে থাকে।
আমন মওসুমে ধানের ফলন বেশ ভালো, ধান ও বিচালির দাম বেশী হওয়ায় চাষীরা বেশ উৎসবমুখর পরিবেশে বোরো চাষ করছে। বোরো আবাদ করার আগেই কৃষি যন্ত্রপাতি মেরামত করে রেখেছে চাষিরা। এ দিকে সার ও তেল হাতের কাছে পাওয়ায় চাষীরা বেশ ভালো ভাবেই জমিতে সেচ ও সার দিতে পারবে।
এ জেলায় বিদ্যুৎ চালিত গভীর ও অগভীর নলকুপ রয়েছে। বিদ্যুৎ চালিত সেচ যন্ত্রে চাষিরা বেশ কম খরচে চাষ করতে পারবে। এ মওসুমে ১৫০ হেঃ জমিতে সমকালীন পদ্ধতিতে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় বোরো রোপন করছে চাষিরা। আগে ভাগেই চাষিরা বীজতলা ভালো ভাবে তৈরি করে রেখেছে। লাগানোর উপযোগী করে তারা জমিতে রোপন করছে। শীতে বীজতলার ক্ষতি না হওয়ায় চাষীরা বেশ স্বস্তিতে রয়েছে। ভালো ভাবে যাতে চাষীরা ধান রোপন করতে পারে সেই সাথে ভাল ফলন পেতে পারে তার জন্য কৃষি বিভাগ চাষীদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা ও দামুড়হুদা উপজেলায় বোরো আবাদ বেশি হয়ে থাকে। কৃষি বিভাগ আশা করছে এ মওসুমে ও লক্ষমাত্রা অতিক্রম করবে।
দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি আর্দশ সমবায় সমিতির ১১টি গভীর নলকুপ রয়েছে। ওই গভীর নলকুপ গুলো প্রতিবছর চাষিদের সেচ সুবিধা দিয়ে থাকে। বৃহস্পতিবার (০৭ জানুয়ারি) পর্যন্ত জেলায় ৮৯০ হেঃ জমিতে বোরো রোপন করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষিসস্প্রসারণ অধিদফতরের প্রশিক্ষণ অফিসার সুফি মো রফিকুজ্জামান বলেন, বোরো মওসুমে সমকালীন পদ্ধতিতে ধান রোপন করা হবে। এই পদ্ধতিতে চাষ করলে চাষিরা কম সময়ে ভালো ফলন ও লাভবান। এছাড়া চাষিরা মাঠে মাঠে ধান রোপন শুরু করেছে। কৃষি বিভাগ চাষীদের ধান রোপনে সম্পন্ন সহযোগিতার করে যাচ্ছে।