হাবিবুর রহমান মুন্নাঃ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পরিবারিক জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব জের প্রকাশ্যে দিবালোকে চাচাতো ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করে আপন জেঠা মুক্তার হোসেন ও তার ছেলে সজিফ রোববার (৮এপ্রিল) দুপুরে ২ টায় জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার তারাশাইল গ্রামে এ ঘটনায় ঘটে।
নিহত একই এলাকার প্রবাসী কালা মিয়ার পুত্র মোঃ ইসরাফিল (২৬)। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে কালা মিয়া স্ত্রী রিনা বেগম,আবু বক্করের স্ত্রী আশয়া বেগম,মো ইউছুম মিয়া ঢাকা পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইসরাফিলের বাবা কালা মিয়ার সঙ্গে পাশ্ববর্তী মোক্তার হোসেনের সাথে মাত্র এক শতাংশ জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। রোববার দুপুরে মোক্তার হোসেনের ছেলে সজিব, বোন নাসরিন, আইরিন ও মা রহিমা বেগম বিরোধপূর্ণ ওই জায়গায় খড়ের গাঁদা(ছিন) তৈরি করছিল। এ সময় ইসরাফিল ও তার ভাই সালমান বাধা দিলে কিছু বুঝে উঠার আগেই মোক্তার হোসেনের ছেলে সজিব হাতে থাকা কুড়াল দিয়ে ইসরাফিলের ঘাড়ে ও মাথায় আঘাত করে।
এ সময় ইসরাফিলের চিৎকারে তার চাচাতো ভাই রামীম, মা রিনা বেগম ও চাচি আয়েশা বেগম এগিয়ে এলে মোক্তার হোসেনের ছেলেমেয়েরা তাদেরকেও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাদে চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আহতদেরকে উদ্ধার শেষে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইসরাফিলকে মৃত ঘোষণা করেন।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. রিফাতুল হক বলেন, ‘নিহত ইসরাফিলের ঘাড়ে ও মাথায় ভারী ধারালো অস্ত্রের গভীর ক্ষত রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়।
এদিকে ইসরাফিলের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত গ্রামবাসী মোক্তার হোসেন, তার মেয়ে নাসরিন, আইরিন ও মা রহিমা বেগমকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
কনকাপৈত ইউপি চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল বলেন, ‘মোক্তার হোসেনের সাথে নিহত ইসরাফিলের বাবা হানিফ মিয়ার সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে একাধিকবার সালিশী সভা হয়। মোক্তার হোসেন সালিশী অমান্য করে এবং নকল দলিল তৈরি করে। বিরোধটি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আমরা উচ্চতর আদালতে বিষয়টা পাঠাই।
নিহত স্ত্রী রিয়া আক্তার বলেন,আমার স্বামী কে আমি ওহ আমার ১০ মাসের বাচ্ছার সামনে জবাইকে করে হত্যা করে। বাড়ির কয়েক বাধা দিতে গেলে মৌসুমি ওহ তার বোন আমার শ্বাশুরিকে কুপিয়ে তাদের আহত করে। আমি আমার স্বামীর খুনিদের বিচার চায়।
চৌদ্দগ্রাম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা,বলেন এ ঘটনায় আমরা মোক্তার হোসেন, তার স্ত্রী ও মেয়েসহ চারজনকে আটক করি। এছাড়া প্রধান অভিযুক্ত সজিবকে গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে’।গ্রেফতারে চেষ্টা অভিযান চলমান রয়েছে।এবিষয় এখনো কোনো মামলায় হয়নি।