আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রোববার রাতের সাত দশমিক তিন মাত্রার ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জাপানের হতাহতের সংখ্যা। ২০১১ সালের ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট সুনামির পর এটিই দেশটির সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প ছিল। যদিও এই ভূকম্পনের প্রভাবে আরও কিছু পরাঘাত বা আফটার শক অনুভূত হতে পারে বলে সাবধান করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল ফুকোশিমা আর মিয়াগিতে এই ভূমিকম্প আঘাত হানলেও এর প্রভাবে রাজধানী টোকিও পর্যন্ত কেঁপে ওঠে। এতে অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি প্রায় ১০ লাখ ঘরবাড়ি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এখনো পর্যন্ত দেশটির বুলেট ট্রেন যোগাযোগ পুনরায় চালু করা সম্ভব হয়নি। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের খবরে এসব তথ্য জানা যায়।
সুনামির ১০ বছর পূর্তির আগেই আবারও বড় ধরণের দুর্যোগের কবলে পড়েছে দেশটি। এখনো পর্যন্ত প্রাণহানির কোন খবর পাওয়া না গেলেও প্রায় ১২০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা। রোববার সকালে এক জরুরি বৈঠকে এই তথ্য জানান তিনি। এসময় উদ্ধাকাজে সেনাবাহিনীর যোগাদানের কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী।
ভূমিকম্পে ফুকোশিমার একটি বৌদ্ধ মন্দির ভেঙে পড়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও অনেক শহরেই ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাই নিয়েছে সাধারণ মানুষ। টোকিওর পাশাপাশি উত্তরাঞ্চলের অনেক বড় শহরের সড়কগুলোও ভূমিধ্বসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বেশ কিছু এলাকা। বিশুদ্ধ পানির সংকটেও পড়েছেন অনেক মানুষ।