DoinikAstha Epaper Version
ঢাকামঙ্গলবার ১৫ই জুলাই ২০২৫
ঢাকামঙ্গলবার ১৫ই জুলাই ২০২৫

আজকের সর্বশেষ সবখবর

টিকা কিনতে আগেভাগে বিশ্বব্যাংকের কাছে ঋণ চায় বাংলাদেশ

News Editor
অক্টোবর ২৪, ২০২০ ৮:৩৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

করোনাভাইরাসের টিকা কেনার জন্য জনসংখ্যার বিবেচনায় বাংলাদেশকে দ্রুত ঋণ মঞ্জুর করতে বিশ্বব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, বিশ্ব ব্যাংকের নমনীয় ঋণ (আইডিএ) যেসব দেশ পায়, তাদের মধ্যে জনসংখ্যার আধিক্য বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। ফলে টিকা কেনার জন্য বাংলাদেশকে দ্রুত ঋণ মঞ্জুর করা দরকার।

বৃহস্পতিবার বিশ্ব ব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সভা-২০২০ এর অংশ হিসাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল ও বিশ্ব ব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শ্যেফারের নেতৃত্বে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলের মধ্যে এক ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় মুস্তফা কামাল এ আহ্বান জানান বলে অর্থমন্ত্রণালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার জানিয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, টিকা আবিষ্কারের সাথে সাথে দেশের মানুষ যাতে পায় সরকার সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এজন্য সরকার আশা করছে বিশ্বব্যাংক আইডিএ-১৯ এর আওতায় বাংলাদেশের জন্য যে বরাদ্দ রেখেছে তার অতিরিক্ত আরও ৫০ কোটি ডলার দেবে। যা দিয়ে টিকা কেনা, সংরক্ষণ, পরিবহন ও বিতরণের কাজ করা যাবে।

এছাড়া করোনার ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় নেওয়া প্রকল্প থেকে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে কমপক্ষে ২৫ কোটি ডলার জরুরি ভিত্তিতে ছাড় করার অনুরোধ করেন তিনি। বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে বিশ্ব ব্যাংকের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মন্ত্রী করোনা মোকাবেলায় বিশ্বব্যাংকের দেওয়া ১০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তার প্রশংসা করেন।

বিশ্বব্যাংক জব ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট(জব ডিপিসি) নামক প্রকল্পের আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমবাজার, আর্থিক ও সামাজিক খাত সচল রাখার লক্ষ্যে বাজেট সহায়তা পাচ্ছে বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে দুই কিস্তি ছাড় করেছে বিশ্বব্যাংক। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে অর্থসচিব আব্দুর রউফ তালুকদার এই বাজেট সহায়তার তৃতীয় কিস্তির ২৫ কোটি ডলার দ্রুত ছাড় করার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংকের প্রকল্পের শর্তগুলো ইতিমধ্যে অনেকাংশে পূরণ করা হয়েছে, বাকী শর্তগুলো দ্রুত পূরণ করা হবে।

আরো পড়ুন :  দুপুরে গণভবনে প্রধান উপদেষ্টার সংবাদ সম্মেলন

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন বলেন, আইডিএ-১৮ এর আওতায় বাংলাদেশ কোর আইডিএ হতে ৫০০ কোটি ডলার এবং এসইউএফ থেকে আরো ২০০ কোটি ডলার ব্যয়ে প্রকল্প নেওয়া ও বাস্তবায়নের সক্ষমতা দেখিয়েছে। যা আইডিএভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি। তিনি প্রকল্প নেওযা ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করায়, আইডিএ-১৯ এর আওতায় বাংলাদেশকে গত বছরগুলোর তুলনায় বেশি পরিমাণে বরাদ্দ দেওয়ার অনুরোধ করেন।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের প্রস্তাবগুলো ইতিবাচকভাবে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন বলে অর্থমন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।