৪৬তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য প্রয়োজন ছিল ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। বাইডেন পেয়েছেন ২৮৪টি। ট্রাম্পের প্রচারণা শিবির ইঙ্গিত দিয়েছে, তাদের প্রার্থী ট্রাম্প পরাজয় স্বীকার করবেন না । শনিবারের (০৭ নভেম্বর) ফলাফলে ১৯৯০ সালের পর ক্ষমতাসীন কোনো প্রেসিডেন্টে প্রথম হার এটি। ট্রাম্প পরাজয় স্বীকার করবেন না ।
গেল দুদিনের বেশি সময় ধরে ২৬৪ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট নিয়ে এগিয়েছিলেন বাইডেন। এগিয়ে ছিলেন নেভাদায়। সেখানে ৬টি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে। ধারণা করা হয়েছিল সেখানে ট্রাম্পকে হারিয়েছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে যাবেন তিনি। কিন্তু সেখানকার ফলাফল এখনও আসেনি।
জর্জিয়া ট্রাম্পকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যান বাইডেন। ইলেকটোরাল সংখ্যা ১৬টি।
তারপর শনিবার পেনসিলভেনিয়ায় এগিয়ে যান বাইডেন। সেখানে ইলেকটোরাল কলেজ সংখ্যা ২০টি।
শনিবার স্থানীয় সময় দুপুরে পেনসিলভেনিয়ার রাজ্যের ভোট গণনা শেষ হয়। তারপর বাইডেনের জয়ের আনঅফিসিয়াল তথ্য প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
১৯০০সালের পর ২০২০ সালের মার্কিন নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পড়ে। বাইডেন পেয়েছেন ৭ কোটি ৩০ লাখের বেশি ভোট। ৭ কোটির বেশি ভোট পেয়েছেন ট্রাম্প। যা মার্কিন ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট প্রাপ্তি।
ভোট গণনা শেষ হওয়ার আগে নিজেকে জয়ী দাবি করেন ট্রাম্প। পরে ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে কারচুপি, প্রতারণার অভিযোগ তোলেন। রিপাবলিকানরা মামলা করেন বেশ কয়েটি রাজ্যে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের পদ হারানোর পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের জেল হতে পারে । তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা চলমান রয়েছে। তাই ট্রাম্পের জেল হতে পারে ! কিন্তু প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাহী সুবিধার আওতায় সেগুলোকে ঠেকিয়ে রেখেছেন তিনি। কিন্তু পদ হারানোর পর এই সুবিধা আর তার থাকবে না।
এদিকে বিভিন্ন রাজ্যে নির্বাচনকর্মীরা ভোট গণনা করছেন। প্রায় সব জায়গায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। এগিয়ে থাকলেও এখনও পর্যন্ত কোনো গণমাধ্যম বা নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান বাইডেনকে জয়ী ঘোষণা করেনি। নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংগঠন ‘ডিসিশন ডেস্ক’ প্রথমারের মতো ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচনী ফলাফল জো বাইডেনর পক্ষে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবেও বাইডেনের নাম ঘোষণা করেছে তারা।
হোয়াইট হাউজের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড পবিত্র মিরর জানিয়েছে, ট্রাম্প এখন যে ভোট চুরির অভিযোগ তুলছেন তার একটি কারণ হলো জেলে যাওয়ার ভয়। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফেডারেল প্রসিকিউটর হ্যারি স্যান্ডিক বলেন, ট্রাম্পের হোয়াইট হাউজ ছেড়ে যাওয়ার পর প্রসিকিউটর ও সাক্ষীদের পক্ষে মামলা চালিয়ে যাওয়া সহজ হবে। ফৌজদারি মামলায় আদালতে হাজির হওয়ার জন্য উচ্চতর সুরক্ষা দাবি করতেন ট্রাম্প। কিন্তু প্রেসিডেন্ট পদে না থাকলে এমন দাবি তিনি করতে পারবেন না।