স্টাফ রিপোর্টার:
বাগেরহাটের চিতলমারীতে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু জাফর মো. আলমগীর হোসেনসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৯ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলা চত্বরের ভেতরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতদের চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার দুপুরে চিতলমারী উপজেলা পরিষদের সামনে কলাতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাদশা শেখ ও তার সমর্থকদের দুই দফা হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু জাফর মো. আলমগীর হোসেনসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন জহুরুল ইসলাম (২৮), নাবিল মীর (২২), রোমেল মীর (২৪), শাহজাহার মীর (৬০), বাবুল শেখ (৩৫), লতিফ মীর (৬০), আমিনুল ইসলাম (৪০), মহসিন (২৭) ও রফিক শেখসহ (৩০) আরও একজন। আহতদের প্রথমে চিতলমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হলে অবস্থার অবনতি ঘটায় চারজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
কলাতলা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু জাফর মো. আলমগীর হোসেন বলেন, নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বাদশা শেখ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে আমার ১০ জন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। আমি এই হামলার বিচার চাই।
তবে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বাদশা শেখ হামলার ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। আলমগীর দল থেকে বহিষ্কার হওয়ায় আমার নামে উল্টাপাল্টা কথা বলছেন।
চিতলমারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শরিফুল হক বলেন, পুলিশ তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। হামলার বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১১ এপ্রিল প্রথম দফায় ইউপি নির্বাচনে বাগেরহাটের ৯ উপজেলার ৭৫ ইউনিয়নের মধ্যে ৭০টিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।