ঢাকা ০৮:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo খাগড়াছড়িতে নাশকতার পরিকল্পনা করছে ইউপিডিএফ Logo সামনে ঘোর অন্ধকার-আমরা ঘুমাচ্ছি Logo খাগড়াছড়িতে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে যুবদলের প্রতিষ্ঠা বাষিকী পালিত Logo কিশোরগঞ্জে ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল Logo হোসেনপুরে পুলিশের হাত থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিল বিএনপি নেতারা Logo কিশোরগঞ্জ শহরে অটোরিকশার যানজট ও ফুটপাত দখল ভাঙতে মাঠে নামলেন ডিসি ফৌজিয়া খান Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে মহাসচিব মির্জা ফখরুলের শোক Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে প্রবাস থেকে শোক প্রকাশ করলেন সেলিম রেজা Logo নলছিটিতে বিএনপির পক্ষে জনসংযোগ ও পথসভা করলেন এ্যাড. শাহাদাৎ হোসেন Logo কাঁঠালিয়ায় গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়ন প্রত্যাশির লিফলেট বিতরণ

ঢাকা দক্ষিণে ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকেরা

Doinik Astha
Doinik Astha
  • আপডেট সময় : ১১:১৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ মে ২০২৩
  • / ১০৩১ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার শরীফ হাসান : ঢাকা জেলা দক্ষিনে বৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টির আশংকা নিয়েই দোহার ও নবাবগঞ্জ  উপজেলায় ধান কাটার ধুম পড়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার ধান বেশী ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষান ও জমির মালিকরা।  তাই তারা শেষ সময় এখন সবকিছু ভুলে ধান কাটায় ব্যস্ত হয়ে পরেছে। নবাবগঞ্জ উপজেলার আড়িয়াল বিল এলাকার কৃষক আউয়াল উদ্দিন বলেন, আকাশ মেঘলা হলেই আকাশের পানে চেয়ে থাকি কখন কালো মেঘ ভাসে।

ভয় হয় কখন ঝড় আসে। সেই সঙ্গে বৃষ্টি ও শিলা পড়লে তো আর ফসলের রক্ষা নাই। তাই যেভাবেই হোক ধান কেটে গোলায় ভরতে হবে। আর তাই ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছি। নবাবগঞ্জের শিকারি পাড়া গ্রামের কৃষক ইব্রাহিম বলেন, যে আল্লাহ রহমতে এবার ধানের ফসল ভালো হয়েছে। আর তাই শ্রমিক নিয়ে ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছি। গত বছরের তুলনায় আল্লাহ রহমতে এবার ধান চাষে ভাল ফলন হয়েছে। আর এই ধান দিয়ে আমাদের সারা বছর চলে যাবে। এরি মধ্যে চকে ধান কাটা শুরু হয়েছে। হাওরের জমিতে সোনালী ধানের এ মহাসমারোহ যেন কৃষকের মুখে সোনালী হাসির ঝিলিক নিয়ে এসেছে। মহা-আনন্দে তাই কৃষকরাও ধান কেটে মাথায় করে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন কৃষক। দোহার উপজেলার দক্ষিন জয়পাড়া গ্রামের কৃষক মোঃ আলি বলেন এবার ৭ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি ফলনও ভালো হয়েছে। ইতিমধ্যে ৪ বিঘা জমির ধান ঘরে তুলেছেন বাকী আছে ৩ বিঘা। কৃষক মোঃ আলি বলেন বাকি ধান কেটে ঘরে তুলতে চিন্তায় আছি।

ঝড়-তুফান হলে উপায় নাই, ধান নষ্ট হয়ে যাবে। আর তাই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফসলের মাঠে কাজ করছি। এরি মধ্যে আবার ধান কাটতে দেখা গিয়েছে আধুনিক যন্ত্র হারভেস্টার আর এই হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটার বিষয় সুবিধা জানতে চাইলে দোহার উপজেলার বানা ঘাটা গ্রামের কৃষক বীর মুক্তিযোদ্ধা সালাউদ্দিন বলেন, এই হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটতে সময় কম লাগে এবং খরচও কম। যেখানে শ্রমিক দিয়ে ধান কাটলে এক হাজার টাকা লাগে সেখানে এই হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটলে চারশত থেকে পাঁচ শত টাকা লাগে এবং সময়ও কম লাগে।

ধান টানার জন্য দোহার-নবাবগঞ্জে ঘোরার গাড়ি পাশাপাশি মহেন্দ্রাও ব্যাবহার করা হচ্ছে। দোহার ও নবাবগঞ্জের কৃষক দেরকে ধান কাটার মজুরি কথা জিঙ্গাসা করলে তারা বলে যে আমারা খেত থেকে ধান কেটে রাস্তায় পর্যন্ত পৌছে দিলে মালিক পক্ষ ৬ আগলের ধান থেকে আমাদের ১ আগল ধান দেয় আর আমাদের সকালের খাবার ও দুপুরবেলার খাবার এবং বিকাল বেলার খাবার মালিক পক্ষ দিয়ে থাকে। সাধারনত দুপুরবেলার আমাদের ভাত, ডাল ও ভাঝি, আলুর ভর্তা দিয়ে থাকে। এ ধান কাটা নিয়ে কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তখন তারা বলে যে ধান গুলো কিছু দিন আগের ঝড় বৃষ্টিতে শুয়ে পরেছে সে গুলো কাটতে সমস্যা হবে আর তাছাড়া রৌদ্রের জন্য গরমে কষ্ট করতে হচ্ছে।

ট্যাগস :

ঢাকা দক্ষিণে ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকেরা

আপডেট সময় : ১১:১৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ মে ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার শরীফ হাসান : ঢাকা জেলা দক্ষিনে বৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টির আশংকা নিয়েই দোহার ও নবাবগঞ্জ  উপজেলায় ধান কাটার ধুম পড়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার ধান বেশী ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষান ও জমির মালিকরা।  তাই তারা শেষ সময় এখন সবকিছু ভুলে ধান কাটায় ব্যস্ত হয়ে পরেছে। নবাবগঞ্জ উপজেলার আড়িয়াল বিল এলাকার কৃষক আউয়াল উদ্দিন বলেন, আকাশ মেঘলা হলেই আকাশের পানে চেয়ে থাকি কখন কালো মেঘ ভাসে।

ভয় হয় কখন ঝড় আসে। সেই সঙ্গে বৃষ্টি ও শিলা পড়লে তো আর ফসলের রক্ষা নাই। তাই যেভাবেই হোক ধান কেটে গোলায় ভরতে হবে। আর তাই ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছি। নবাবগঞ্জের শিকারি পাড়া গ্রামের কৃষক ইব্রাহিম বলেন, যে আল্লাহ রহমতে এবার ধানের ফসল ভালো হয়েছে। আর তাই শ্রমিক নিয়ে ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছি। গত বছরের তুলনায় আল্লাহ রহমতে এবার ধান চাষে ভাল ফলন হয়েছে। আর এই ধান দিয়ে আমাদের সারা বছর চলে যাবে। এরি মধ্যে চকে ধান কাটা শুরু হয়েছে। হাওরের জমিতে সোনালী ধানের এ মহাসমারোহ যেন কৃষকের মুখে সোনালী হাসির ঝিলিক নিয়ে এসেছে। মহা-আনন্দে তাই কৃষকরাও ধান কেটে মাথায় করে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন কৃষক। দোহার উপজেলার দক্ষিন জয়পাড়া গ্রামের কৃষক মোঃ আলি বলেন এবার ৭ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি ফলনও ভালো হয়েছে। ইতিমধ্যে ৪ বিঘা জমির ধান ঘরে তুলেছেন বাকী আছে ৩ বিঘা। কৃষক মোঃ আলি বলেন বাকি ধান কেটে ঘরে তুলতে চিন্তায় আছি।

ঝড়-তুফান হলে উপায় নাই, ধান নষ্ট হয়ে যাবে। আর তাই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফসলের মাঠে কাজ করছি। এরি মধ্যে আবার ধান কাটতে দেখা গিয়েছে আধুনিক যন্ত্র হারভেস্টার আর এই হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটার বিষয় সুবিধা জানতে চাইলে দোহার উপজেলার বানা ঘাটা গ্রামের কৃষক বীর মুক্তিযোদ্ধা সালাউদ্দিন বলেন, এই হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটতে সময় কম লাগে এবং খরচও কম। যেখানে শ্রমিক দিয়ে ধান কাটলে এক হাজার টাকা লাগে সেখানে এই হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটলে চারশত থেকে পাঁচ শত টাকা লাগে এবং সময়ও কম লাগে।

ধান টানার জন্য দোহার-নবাবগঞ্জে ঘোরার গাড়ি পাশাপাশি মহেন্দ্রাও ব্যাবহার করা হচ্ছে। দোহার ও নবাবগঞ্জের কৃষক দেরকে ধান কাটার মজুরি কথা জিঙ্গাসা করলে তারা বলে যে আমারা খেত থেকে ধান কেটে রাস্তায় পর্যন্ত পৌছে দিলে মালিক পক্ষ ৬ আগলের ধান থেকে আমাদের ১ আগল ধান দেয় আর আমাদের সকালের খাবার ও দুপুরবেলার খাবার এবং বিকাল বেলার খাবার মালিক পক্ষ দিয়ে থাকে। সাধারনত দুপুরবেলার আমাদের ভাত, ডাল ও ভাঝি, আলুর ভর্তা দিয়ে থাকে। এ ধান কাটা নিয়ে কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তখন তারা বলে যে ধান গুলো কিছু দিন আগের ঝড় বৃষ্টিতে শুয়ে পরেছে সে গুলো কাটতে সমস্যা হবে আর তাছাড়া রৌদ্রের জন্য গরমে কষ্ট করতে হচ্ছে।